এন্টিবায়োটিকের সচেতন ব্যাবহার
বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ প্রতিবছরের মত এবার ও পালিত হচ্ছে,এবছর ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী এটি পালিত হচ্ছে।এই সচেতনতা সপ্তাহ পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে এন্টিবায়োটিক এর ব্যাবহার এবং এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।আসুন এই এন্টিবায়োটিক সপ্তাহে জেনেই নেই এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে কিছু তথ্য
এন্টিবায়োটিক কিঃ
এন্টিবায়োটিক একধরণের জৈব-রাসায়নিক ঔষধ যা অণুজীবদের (বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়া ) নাশ করে বা বৃদ্ধিরোধ করে। সাধারানতঃ এক এক অ্যান্টিবায়োটিক এক এক ধরনের অণুজীব তৈরি করে ও অন্যান্য অণুজীবের বিরুদ্ধে কাজ করে। বিভিন্ন
ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক এন্টিবায়োটিক তৈরি করে। "এন্টিবায়োটিক" সাধারণভাবে ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার হয়,
ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না।
প্রথম এন্টিবায়োটিক ১৯২৭ লন্ডনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে কর্মরত অণুজীব বিজ্ঞানী
আলেকজান্ডার ফ্লেমিং আবিষ্কার করেণ
**এন্টিবায়োটিক প্রায় ১০০ প্রকার পাওয়া যায়, তবে এদের কে সাধারণত ৭ টি প্রধান গ্রুপে ভাগ করা যায়। কেউ কেউ ৬ টি গ্রুপে ভাগ করার পক্ষে।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কিঃ
এন্টিবায়োটিক এর অতিমাত্রায় ব্যবহার এর ফলে কিছু ব্যাক্টেরিয়া এন্টিবায়োটিক রোধি হয়ে যায় এবং এই ব্যাক্টেরিয়া তখন এন্টিবায়োটিক দিয়ে নাশ করা সম্ভব হয় না।
আর এই রেজিস্ট্যান্স এর অন্যতম কারন হলো
** অতিমাত্রায় এন্টিবায়োটিক সেবন
**সঠিক সময়ে এন্টিবায়োটিক সেবন না করা
** চিকিৎসক প্রদত্ত কোর্স সম্পূর্ণ না করা
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর পরিণাম ভয়াবহ। একবার ভাবুন ত সাধারণ একটি রোগে একসময় মহামারি হবে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর কারনে।
জ্বর, সর্দি-কাশি হলেই ডাক্তার এর পরামর্শ না নিয়ে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বাংলাদেশ এ দ্রুত ছড়াচ্ছে।
দ্রুত কমে যাচ্ছে সেন্সিটিভ ব্যাকটেরিয়া এবং বেড়ে চলছে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাক্টেরিয়া।
সহজ ভাষায় বলি
ধরুন আপনার শরীরে ১০ লক্ষ ব্যাকটেরিয়া নিয়ে আপনি চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিতে গেলেন।তিনি আপনাকে ১০ দিনের জন্য এন্টিবায়োটিক লিখে দিলেন। আপনি ৭ দিনে সুস্থ হয়ে এন্টিবায়োটিক আর খেলেন না। এতে কিছু পরিমাণ ব্যাক্টেরিয়া থেকে গেলো আপনার শরীরে, এই ব্যাক্টেরিয়া গুলো জেনেটিক মিউটেশন এর মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক রোধি হয়ে যাবে। একটি গ্রুপের ব্যাক্টেরিয়া রেজিস্ট্যান্ট হওয়া মানে উক্ত গ্রুপের আর কোন এন্টিবায়োটিক ই কাজ করবে না। এরকম করে ৭ টি গ্রুপ ই যখন রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাবে অই রোগি সাধারন ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশান এ মারা যাবে, বিনা চিকিৎসায়, কোনো এন্টিবায়োটিক কাজ করবে না।
আবার আক্রান্ত ব্যাক্তি শুধু নিজে যে বিপদে তা নয় এই রেজিস্ট্যান্ট ব্যাক্টেরিয়া যখন অন্য কোনো ব্যাক্তিকে আক্রমণ করবে, তখন তারও একই ভাবে অই গ্রুপের এন্টিবায়োটিক কাজে আসবে না।সে সারাজীবন এ এন্টিবায়োটিক যদি নাও সেবন করে থাকে তবুও সে এই রেজিস্ট্যান্ট এর স্বীকার হবে। এভাবেই এই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ভয়াবহ আকার ধারন করছে
প্রতিকারঃ
**আন্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রনে রাখা
**ভাইরাসঘটিত রোগে আন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধ করা। ভাইরাসের বিরুদ্ধে আন্টিবায়োটিক কোনো কাজে আসে না, কারণ আন্টিবায়োটিক শুধু মাত্র
ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের বিরুদ্ধে কাজ করে। যেমন, আমাদের যে সাধারণ হাঁচি কাশি জাতীয় ঠান্ডা লাগা, সেটা মূলত ভাইরাস ঘটিত-
করোনাভাইরাস ( Coronavirus ),
রাইনোভাইরাস ( Rhinoviurs ) ইতাদি সাধারণতঃ এজন্য দায়ী; এদের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না
**ডাক্তার যখন আন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে পরামর্শ দেবে, তখন ডাক্তারের পরামর্শ মতো সঠিক সময়ের ব্যবধানে সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক সময় পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট এর ভয়াবহ রুপ ধারন করার আগেই সবাই কে সচেতন হতে হবে।তা না হলে সাধারন ইনফেকশন এ হাজারে হাজারে মানুষ মারা যাবে।
বরগুনার আলো- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা দিলেন নান্নু
- সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা: দুইজনের যাবজ্জীবন, তিনজন খালাস
- আবাসিক হোটেলে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ২৫
- মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, উন্নত ও আধুনিক বরিশাল গড়ার আহ্বান
- ভুয়া ডিজিএফআই সদস্য ইমাম হাসান আটক
- বরিশালে যৌথ অভিযানে ৪৩ মণ জাটকা জব্দ, আটক ৪
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গবেষণায় গুরুত্বারোপ ইউজিসির
- আমতলীতে আবারো মেয়র হলেন মতিয়ার রহমান
- পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান
- বাড়ির উঠানে গাঁজা চাষ, অবশেষে ধরা মধু ফকির
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
- জাতিসংঘের রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চায় সরকার
- বেইলি রোডে অগ্নিকান্ড কবলিত ভবনে ফায়ার এক্সিট না থাকায় হতাশ
- পাহাড়ের বুকে সড়ক, যোগাযোগের নতুন মাইলফলক
- দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্বের পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ হয়েছে পুলিশ
- শরীয়তপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
- নতুন নতুন অপরাধ দমনে পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
- ছাব্বিশে পাতাল রেল যুগে বাংলাদেশ