• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয় আমল

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৯  


 
আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে নানাবিধ আপদ-বিপদ ও মুসিবত দিয়ে বান্দাকে পরীক্ষা করেন। অনেক সময় বান্দার গুনাহের শাস্তিস্বরূপ লঘু শাস্তি দিয়ে সতর্ক করা হয়। তবে এসব আসমানি বিপদ-আপদে হিফাজতে থাকার বিভিন্ন আমল কুরআন-হাদিসে এসেছে। 

মেঘের গর্জন বা বজ্রপাতের সময় পড়ার দুয়া :

اَللّٰهُمَّ لَا تَقْتُلْنَا بَغَضَبِكَ. وَ لَاتُهْلِكْنَا بَعَذَابِكَ. وَ عَافِنَا قَبْلَ ذٰلِكَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা তাকতুল না বিগাদাবিকা, ওয়া লা তুহলিক না বিআযাবিকা, ওয়া আফি না কবলা যালিকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি গজব দিয়ে আমাদের নিপাত করবেন না, আপনি আজাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করবেন না; তার আগেই আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন।

ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ো বাতাস প্রবাহের সময় পড়ার দুয়া : 

প্রবল ঝড়োহাওয়া প্রবাহের কালে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন। কেননা মহান আল্লাহই মানুষের সবচেয়ে বড় আশ্রয়দাতা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন, ‘তোমরা বাতাসকে গালি দিও না। তবে যদি তোমরা একে তোমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেখতে পাও, তবে এ দোয়া করবে-

اَللَّهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ خَيْرِ مَا فَيْهَا وَ خَيْرِمَا أُمِرَتْ بِهِ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ شَرِّ مَا فَيْهَا وَ شَرِّ مَا أُمِرَتْ بِهِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরি মা ফিহা ওয়া খাইরি মা উমিরাত বিহি, ওয়া নাউযুবিকা মিন শাররি হাজিহির রিহি ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উমিরাত বিহি। 
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট এ বাতাসের ভালো দিক, এতে যে কল্যাণ রয়েছে তা এবং যে উদ্দেশ্যে তা নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার উত্তম দিকটি প্রার্থনা করছি। আর তোমার নিকট এর খারাপ দিক হতে, এতে যে অকল্যাণ রয়েছে তা হতে এবং এটা যে উদ্দেশ্যে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে, তার মন্দ দিক হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

বেশি বেশি ইস্তিগফার করা : 

যেহেতু মানুষের পাপাচারের ফলে আল্লাহ তায়ালা ঘূর্ণিঝড়, তুফানের মতো শাস্তি দিয়ে থাকেন সুতরাং এমতাবস্থায় আমাদের উচিত গুনাহ থেকে তাওবা করা। আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়া। বিশেষ করে একটি হাদিসে এসেছে যে, যখন কোনো সম্প্রদায় আল্লাহর আইনের পরিবর্তে মানবরচিত আইন-কানুন দিয়ে রাষ্ট্র-সমাজ পরিচালনা করে, তখন আল্লাহ তায়ালা এ ধরনের আজাব-গজব বান্দার ওপর চাপিয়ে দেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

«ما حكم قوم بغير ما أنزل الله إلا وقع بأسهم بينهم»

‘কোনো সম্প্রদায় যখন আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানের পরিবর্তে অন্য কোনো বিধান দিয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করে, আল্লাহ তায়ালা তখন তাদেরকে দুর্যোগ, বিপদাপদে পাকড়াও করেন।’
[বাইহাকি, আসসুনান; আলবানি রহ. সহিহ বলেছেন : আততারগিব ওয়াত তারহিব : ১/৩২১]

বরগুনার আলো