• বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২৪ ১৪৩০

  • || ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৪

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতার ইতিহাসে ৬ দফা অন্যতম মাইলফলক: রাষ্ট্রপতি ৬ দফার প্রতি জনসমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ সাধ্যমতো চেষ্টা করছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ: শেখ হাসিনা সবাইকে ৩টি করে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর আ.লীগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: শেখ হাসিনা একদিকে মুদ্রাস্ফীতি, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে ভুগছে দেশের মানুষ: প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত: প্রধানমন্ত্রী ‘প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে, এরকম পরিস্থিতি আর হয়েছিল কিনা জানি না’ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি বিশ্বের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪ দিন বন্ধ ঘোষণা সরকার এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে: শেখ হাসিনা দেশজুড়ে উন্নত রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী চা শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশের প্রত্যাশা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে দেশে চা উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে

‘শেখ হাসিনার সরকার, চিরদিনই দরকার’

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩  

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী হানিফ বলেছেন, ‘মা, আপনার দয়ায় ঘর পেয়েছি, স্কুল পেয়েছি, মাদরাসা পেয়েছি, রাস্তা পেয়েছি। আমার আর কোনও চিন্তা নাই মা। এখন আমি ভিক্ষাও আর করবো না। আমি ছোট্ট একটা দোকান করে আপনার দয়ায় দিন কাটায় দিবো, মা। আপনার জন্য আল্লাহপাকের কাছে দোয়া করা ছাড়া আমার আর কিছু দেওয়ার নাই। আমি আপনার জন্য চিরকাল দোয়া করি, মা। আমি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করি, তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

এ সময় ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার আমাদের দরকার, চিরদিনই দরকার।’

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে চতুর্থ পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের কাছে উপহারের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় উচ্ছ্বসিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এসব কথা বলেন উপকারভোগী হানিফ।

একই আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী নুরজাহান বেগম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলাম। আমার তো নামাজ-রোজা করতে হয়, অপেক্ষা করছি সন্তানরা খোঁজ নেয় কি না। রোজা চইলা গেল। ভাবলাম ঈদের মধ্যে খোঁজ করবো। ঈদও চইলা গেল, খোঁজ নেয় নাই। কোরবানিতেও আমারে খোঁজ করল না। আমি এখন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে মানুষের সেবা করি, লাশ ধোয়াই। একদিন শুনলাম আপনি ঘর দ্যান। আজ  আমি পাকা ঘর ও দুই শতক জমি পাইছি। ঘরে ঢুকে আমার এতো আনন্দ লাগছে। আমি এখন সবকিছু পাইছি।’

‘শেখ হাসিনার সরকার, চিরদিনই দরকার’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভাবসিলাম যে আমি মারা গেল কোন খানে মাটি দিবো আমারে। আমার তো জায়গাবাড়ি নাই। বাপের ঘরে হইসিলাম, ভাইয়েরা পরিচয় দেয় না আমি গরিব বইলা। আল্লাহ আমারে এখন দাঁড়ানোর শক্তি দিছে।’

শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের ৮ একর জমির ওপরে ১৪২টি ঘর তৈরি করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন, সুপরিসর রাস্তাঘাট ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এ প্রকল্পটি দেখে মনে হবে গ্রামের ভেতর একটি আধুনিক গ্রাম। এ ছাড়া নয়াপাড়া গ্রামের চারপাশে গড়ে উঠছে বিভিন্ন শিল্প-কলকারখানা। এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী নারী-পুরুষসহ সব বয়সীর জন্য থাকছে আত্মকর্মসংস্থানমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। নিজের পায়ে দাঁড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে সব রকম সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কার্যক্রম। শিশু কিশোরদের জন্য রয়েছে আলাদা স্কুল।

গাজীপুর মৌজার সরকারি ১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ৮ একর ১১ শতাংশ জমিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাস্তবায়নাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে ১৪২টি ঘর নির্মিত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের দারিদ্র্য বিমোচনেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শতাধিক পরিবারের বসবাসের বিশেষ এ গ্রামে অভ্যন্তরীণ প্রশস্ত রাস্তাসহ যোগাযোগব্যবস্থা, খেলার মাঠ, পুকুর, ফলজ, ভেষজসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ, রাস্তার পাশে সৌন্দর্যবর্ধনকারী গাছ রোপণ, পারিবারিক পুষ্টি বাগান, মসজিদ, দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র কাম বিদ্যালয়, রাস্তায় সোলার লাইট স্থাপন, সুপেয় পানির জন্য প্রতি ১০ পরিবারের জন্য সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতেই সরকারের এই উদ্যোগ।

বরগুনার আলো