• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বরগুনার শিশু ও কিশোররা

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৩  

মাদক, ধর্ষণ এবং খুনের মতো লোমহর্ষক নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বরগুনার শিশু ও কিশোররা। প্রচলিত আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের পরও এমন অপরাধ থেকে সরিয়ে আনা যাচ্ছে না তাদের। জেলার শিশু আদালতে বিচারাধীন আছে ২৩১টি মামলা, তাতে অভিযুক্তের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। এ অবস্থায় শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার ছাড়াও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলার প্রতি তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো দরকার।

জেলার শিশু আদালতের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে মাদক, ধর্ষণ এবং খুনের মতো লোমহর্ষক ঘটনার ৬৯টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে আটকাদেশ দেয়া হয়েছে শতাধিক শিশু ও কিশোরকে। এদের মধ্যে ৩৪ জনকে দেয়া হয়েছে শিশু আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি। আটকাদেশ পাওয়া কিশোরদের মধ্যে অধিকাংশ বরগুনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া এ আদালতে বিচারাধীন আছে ২৩১টি মামলা, যেগুলোতে অভিযুক্ত ৫ শতাধিক শিশু-কিশোর।

শিক্ষকরা জানান, ক্লাসের সময় ঘোরাঘুরি আর দলবল নিয়ে আড্ডাবাজি দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থীকে। এতে একের পর এক লোমহর্ষক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এছাড়া অভিভাবকদের উদাসীনতায় স্কুল জীবন থেকেই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা।

আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, খুন এবং ধর্ষণের পাশাপাশি শিশু-কিশোররা সব থেকে বেশি জড়িয়ে পড়ছে মাদকে। এটি প্রচলিত আইনে প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না। শিশু-কিশোরদের অপরাধ বিমুখ করতে যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলায় তাদের সম্পৃক্ত করা জরুরি।

বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মতিউর রহমান বলেন, শিশু-কিশোরদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি অবহেলা তাদের বাবা-মায়ের। ক্লাস কিংবা প্রাইভেটের কথা বলে সন্তানরা কোথায় যায়, তা অভিভাবকরা খোঁজ রাখেন না। অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্কুল জীবনে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। কোন সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে হলে সবার আগে দায়িত্ব নিতে হয় পরিবারের। কিন্তু এক্ষেত্রে এ জেলার অভিভাবকরা বেশি অসচেতন।

জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, খুন এবং ধর্ষণের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি মামলা আসছে মাদকের। দরিদ্র পরিবারের সন্তানরাই এসব মামলায় বেশি অভিযুক্ত হচ্ছে। এছাড়া মারামারির যেসব মামলা আসছে, সেগুলো পরবর্তীতে মীমাংসা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে মাদক পরিবহন করছে। এ কারণে শিশু-কিশোরদের বিরুদ্ধে সবচে বেশি মাদকের মামলা। আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের পরও শিশু-কিশোরদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাই প্রয়োজন বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করা। কারিগরি শিক্ষার প্রতি সরকারের গুরুত্ব দেয়া উচিত।

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, শিশু-কিশোরদের অপরাধ বিমুখ করতে পুলিশের উদ্যোগে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে পাড়ায়-মহল্লায় বয়োজ্যেষ্ঠদের নানা দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘অপরাধ নির্মূল করতে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমরা সোচ্চার রয়েছি। অভিভাবকদের সবচে বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আমরা তাদের সচেতন করতে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আর এর সুফলও আমরা পেতে শুরু করেছি।’

বরগুনার আলো