• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

লকডাউন বাড়তে পারে আরো ১০ দিন

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২১  

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও মৃত্যুরোধে সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউনের আজ (৩১ জুলাই) নবমদিন পালিত হচ্ছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু হ্রাসের কোনো লক্ষণ নেই। গত কয়েকদিন ধরে দেশে গড়ে দুই শতাধিক করোনা রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ আরো বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

আগামী ৫ আগস্টের পরও দুই সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সুপরিশে ৫ আগস্টের পর আরো ১০ দিন লকডাউন বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে চলমান বিধিনিষেধ আরো ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। যদিও এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।’

খুরশীদ আলম বলেন, ‘যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কিভাবে এই সংক্রমণ সামাল দেবো? রোগীদের কোথায় জায়গা দেবো? সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব? অবস্থা খুবই খারাপ হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এসব বিবেচনাতেই আমরা বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।’

তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, 'জীবন-জীবিকার সমন্বয় করে' কিছু বিষয় শিথিল করে বিধিনিষেধ অব্যাহত রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকার রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামীকাল রবিবার (০১ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে এসব কারখানা বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে। গতকাল শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের এই সময়ে বিধিনিষেধ তুলে দিলে পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর হতে পারে। এর পরও রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়া হচ্ছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বিষয়টি কঠোর নজরদারির আওতায় রাখতে হবে। না হলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

এর আগে গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাধার মুখে পড়ে। অনেক কম্পানি ক্রয় আদেশ হারায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর নেতারা রপ্তানিমুখী বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা কয়েক দফা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত বৃহস্পতিবারও তারা সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান।

অনেকটা বাধ্য হয়েই রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে তৈরি পোশাক, চামড়া, পাট ও পাটজাত পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হিমায়িত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, বাইসাইকেল, কেমিক্যাল প্রডাক্টস, ওষুধ, প্রকৌশলী যন্ত্রাংশ, কাগজ ও কাগজ পণ্য, হ্যান্ডি ক্রাফটস, রাবার ও কার্পেট খাতের শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। পাশাপাশি এসব খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কারখানা খোলা রাখা যাবে। কঠোর লকডাউন শুরুর আগেই খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, চামড়া প্রক্রিয়াজাত, ওষুধ ও করোনা সুরক্ষাসামগ্রী উৎপাদনকারী কারখানা বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তা অব্যাহত থাকবে।

শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর গতকালই গ্রাম থেকে মানুষের ঢাকামুখী ঢল নেমেছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সড়ক-মহাসড়কেও যানবাহন চলাচল বেড়েছে। আজও একই ধারা অব্যাহত আছে।

জরুরি প্রয়োজন ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়া হলেও সেগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অন্যথায় সামনে মহাবিপদ অপেক্ষা করছে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা।

বরগুনার আলো