কোন সুখে বিএনপিকে ভোট দেবে মানুষ, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
বিএনপিকে কে ভোট দেবে, এমন প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে জিতবে এই বিশ্বাসটা হারিয়ে গেছে। তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। কোন ভরসায় মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে, কেন দেবে?’
সোমবার (৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রশ্ন করেন। ২ ঘণ্টা ১৮ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পরেও সাংবাদিকদের ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এত সুবিধা পেয়ে গালিটা আমার ওপর দিয়ে বা আওয়ামী লীগের ওপর দিয়ে যাবে- এই তো? এটা আমাদের বাঙালির চরিত্রেই আছে। তাদের ভোট দেবে কে আগে সেটা জিজ্ঞেস করেন। আমি সব সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করি—কারা, কেন, কী কারণে, কোন স্বপ্নে, কী সুখে, কোন আশার আলো দেখে বিএনপিকে বা অন্যদের ভোট দেবে? সেটা আমাকে একটু বলেন; শুনি একটু, জেনে রাখি। আর আমরা দেশের জন্য কিছু করলাম কিনা সেটাও একটু তুলনা করেন।’
তিনি বলেন, ‘অনেক নির্বাচন আপনারা দেখেছেন। এই করোনার মধ্যেও যখন নির্বাচনগুলো বন্ধ হলো এবং যখন শুরু হলো তখন কিন্তু কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। কয়েক দিন আগে যে ইলেকশনটা হয়ে গেলো আপনারা দেখেছেন যে ভোটাররা কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, আপনারা একটা বিষয় কী চিন্তা করে দেখেছেন যে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু তা-ই নয়, নির্বাচন যাতে ঠিকমতো না হয় বা মানুষ যাতে না যায় অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে এহেনও কাজ নেই যেটা না করা হয়েছে। তারপরও ইলেকশন হয়েছে এবং ইলেকশন হওয়ার পরে একটা স্থিতিশীল পরিবেশ ছিল বলেই কিন্তু আজকে উন্নয়নটা দেখতে পাচ্ছেন। যা করতে চেয়েছি সেটা কিন্তু করা সম্ভব হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘এখন যেসব রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপিসহ যারা কথা বলে, আসলে তারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু তাদের প্রশ্ন করা উচিত এই দলের জন্মটা কীভাবে? এই দলটি কি কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত? বা এমন কোনও নেতৃত্ব যে নেতৃত্ব বাংলাদেশে কোনও দিনও জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা নিয়ে আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে বা কিছু করেছে? তা তো না। অত্যন্ত সুবিধাবাদী এবং বলতে গেলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি করা সংগঠন।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা এই দলটাকে তৈরি করেছিল তাদের হাতেই লালিত-পালিত ছিল। যতদিন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছে ততদিন পর্যন্ত তারা নির্বাচিত হতে পেরেছে। আমি শুধু বিএনপিকে একটা কথাই বলবো, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তাদের তো কোনও অভিযোগ নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা জিততে পারেনি কেন? তখন প্রশ্ন তোলেনি কেন? এরপরে যতটা নির্বাচন হয়েছে সেখানে মানুষ তো ভোট দিয়েছে। মানুষ ভোট দেয়নি তা তো না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ভোট নিয়ে যত কথা। আমরা আধুনিক প্রযুক্তিতে গেলাম। ইভিএমে ভোট হচ্ছে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন। এরা যেহেতু সব সময় পরভাতে পালিত, এখন সেই জায়গাটা বোধহয় তাদের আর নেই। এজেন্সিগুলোর যে সুযোগ নিয়ে তাদের তৈরি করা হয়েছিল সেই এজেন্সিগুলো এখন যেহেতু বিএনপি ক্ষমতায় নেই, তাই তাদের নিয়ন্ত্রণও নেই। তারা তাদের সুবিধা পাচ্ছে না। আমরা তো সেভাবে তাদের ব্যবহার করি না। আমরা দেশের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার করি। দল ভাঙা, দল গড়া, দল করার জন্য তো ব্যবহার করি না। তারা সুবিধাগুলো পাচ্ছে না বলে হয়তো ক্ষোভ। তারা জানে যে জিততে পারবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা দল কীভাবে জিতবে? তার নেতৃত্ব কোথায়? একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকজন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ অগ্নিসন্ত্রাসের নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে দেশান্তরি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের নেতৃত্বে রেখেছে, তাহলে জনগণ কোন ভরসায় ওই দলকে ভোট দেবে, আমাকে সেটা বুঝিয়ে বলেন। সাধারণত জনগণ কখন ভোট দেয়? তারা তো দেখে যে ক্ষমতায় যাবে কে। যদি এখন এরকম হয় যে একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, আরেকজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি; তারা তো ইলেকশনও করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘ফলাফলটা হচ্ছে যে তাদের ভেতরে যে একটা বিশ্বাস, ইলেকশনে তারা জিতবে বা ক্ষমতায় যেতে পারবে—সেই বিশ্বাসটা তাদের নেই। হারিয়ে গেছে। তারা জানে তাদের কোনও সম্ভাবনা নেই। সম্ভাবনা যখন নেই তখন এটাকে যেভাবেই হোক একটা কন্ট্রোভার্সিয়াল করা। মানুষের ভেতরে একটা বিভেদ সৃষ্টি করা। যেভাবেই হোক মানুষের ক্ষতি করা এটাই তো চেষ্টা। গণতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা, সেটা অব্যাহত আছে। ২০০১-এ বিএনপি ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলাভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, সারা বাংলাদেশে গ্রেনেড হামলা করলো।’
এ সময় কিছু ছবি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন তখন কী অবস্থা মানুষের, আতঙ্কে মানুষ। মানুষের জীবনের কোনও নিরাপত্তা ছিল না। বলতে গেলে ১ অক্টোবর থেকে যে অত্যাচার শুরু হলো। যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মানুষকে অত্যাচার করেছে, সেভাবে ধর্ষণ করা, হত্যা করা। সেখানে কেউ সাহস করে মামলা করবে? একমাত্র পূর্ণিমা সাহস করে মামলা করেছিল বলে এলাকা থেকে চলে যেতে হলো। প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা করে মানুষ মারা হলো। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কেউ তো বাদ যায়নি বিএনপির অত্যাচারের হাত থেকে। তাদের এই সমস্ত অপকর্মের ফলে কী অবস্থা দাঁড়ালো? তারপরে দুর্নীতি। বাংলাদেশ পাঁচ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। যার ফলে ইমার্জেন্সি আসলো।’
তিনি বলেন, ‘অত্যাচারিত আমি হলাম বেশি। প্রথমবার তো আমাকেই গ্রেফতার করা হলো। তারপর ২০০৮-এ নির্বাচনে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিলো। কেন ভোট দিলো? ৯৬ থেকে ২০০১ সালে অন্ততপক্ষে জনগণ এটুকু পেয়েছিল যে সরকার মানে জনগণের সেবক। কিছু হলেও উন্নতি হয় দেশের, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০০৮-এ আমরা ঘোষণা দিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ। তখনও কত ব্যঙ্গ করা হলো এই কথা নিয়ে। আজকে কি ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়নি? বরং আমাদের এখানে তো আরও চমৎকার সিস্টেম। আমি তো আমেরিকাতেও এরকম ভিডিও কনফারেন্সিং করলাম। আমি তো দেখি সেখানে থেকে আমাদের এখানে অনেক সুন্দর ব্যবস্থা। আমি তো একসঙ্গে সারাদেশে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে পারি। করোনা যখন হয়েছে তখন আমি সেটা করেছি প্রত্যেকটা জেলায় জেলায়।’
তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। পঁচাত্তর থেকে ৯৬ আর ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ধরেন মানুষ কী পেয়েছে? সেই তুলনাটা করেন আপনারা। তারপরও বিবেচনা করেন। আমার কাছে তো আর ক্ষমতাটা ভোগের বস্তুও না, শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্য ক্ষমতা না।’
বরগুনার আলো- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- আদালতের রায়ের ওপরে কিছু নেই: বুয়েট উপাচার্য
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- বাতাসের চাপ থেকে বিদ্যুৎ: বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি স্টার্টআপ
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট