• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ব্লু-ইকোনমির সুযোগ কাজে লাগাতে বিনিয়োগের আহ্বান

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২১  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মেরিন কালচারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ব্লু-ইকোনমির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশের মাছ ধরার অঞ্চলের ৮৮ শতাংশ এখনো ব্যবহার করা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত দেশের মোট ফিশিং জোনের প্রায় ১২ শতাংশ এলাকায় প্রবেশ করেছি। ৮৮ শতাংশ এলাকা এখনো কাজে লাগানো যায়নি। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সীমাহীন সুযোগ।

রোববার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১ বাংলাদেশ’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘ব্লু-ইকোনমি: ডিসকভার দ্য ফিউচার’ শীর্ষক ব্যবসায়িক অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সহজলভ্য ৪৭৫ প্রজাতির সাদা মাছের মধ্যে কেবল ১২০টিই ধরা যাচ্ছে এবং ৩৬ প্রজাতির চিংড়ির মধ্যে মাত্র ৬ থেকে ৭টি পাওয়া যাচ্ছে। কারণ দেশের গভীর সমুদ্রে মাত্র ৫০-৬০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মাছ ধরার সক্ষমতা রয়েছে আমাদের।

সম্ভাব্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তথ্য-উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, অর্থ উপার্জনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ব্লু ইকোনমি ইস্যুটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।

ড. মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ব্যবসাবান্ধব। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, সরকার অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে একটি অনুকূল, বন্ধুত্বপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে দিতে আগ্রহী। মৎস্য, সামুদ্রিক বাণিজ্য ও নৌপরিবহন, জ্বালানি ও সামুদ্রিক পর্যটনসহ নয়টি সামুদ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে ও সরকার একটি ‘ব্লু-ইকোনমি ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক প্ল্যান’ গ্রহণ করেছে। এই চিহ্নিত খাতগুলো থেকে সর্বাধিক লাভের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা ও বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।

মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর বড় আকারের জাহাজের জন্য বৈশ্বিক শিপ বিল্ডিং অর্ডার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট ও মাঝারি সমুদ্রগামী জাহাজের চাহিদার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য একটি উচ্চ সম্ভাবনাময় বাজার গড়ে উঠেছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বে জাহাজ নির্মাণে বাজারের আকার ১৬০০ বিলিয়ন ডলার। যদি বাংলাদেশ মাত্র ১ শতাংশ মার্কেট শেয়ার দখল করতে পারে তাহলে এর মূল্য হবে ১৬ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ যদি শুধু ছোট জাহাজের বাজারের বৈশ্বিক অর্ডারের ১ শতাংশ দখল করতে পারে তবে এর পরিমাণ হবে ৪ বিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন, সম্প্রতি সরকার জাহাজ নির্মাণ-শিল্প উন্নয়ন নীতি-২০২০ প্রণয়ন করেছে, যাতে ২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ রপ্তানি থেকে বার্ষিক ৪ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সরকার এ বিষয়ে উদ্যোক্তাদের তহবিল সরবরাহ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানান তিনি।

ড. মোমেন বলেন, আমাদের গ্যাস ও তেল আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোর জন্য উন্মুক্ত। বাংলাদেশ এরই মধ্যে সিসমিক জরিপ পরিচালনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সামুদ্রিক পর্যটনে বিনিয়োগ করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্লু-ইকোনমি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন, অভিযোজন ও দুর্যোগ সহনশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও অন্বেষণের জন্য ‘ব্যবহার’ ও ‘সংরক্ষণ’র মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তিনি বলেন, আমাদের নীল অর্থনীতি অনুসরণের প্রেরণা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সূচিত হয়েছে। ১৯৭৪ সালেই সমুদ্র ও এর সম্ভাব্য সামুদ্রিক সম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ‘মেরিটাইম জোনের’ সীমা নির্ধারণে প্রথম ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেছিলেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও তখন এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ধারণা ছিল না।

বরগুনার আলো