• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যে ১০ কারণে কখনোই শ্রীলঙ্কা হবে না বাংলাদেশ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২২  

সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার অবস্থা বেশ শোচনীয় হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক দুরাবস্থা থেকে সঙ্কট গিয়ে ঠেকেছে রাজনৈতিক অস্থিরতায়। দেশটার জন্য যখন মানুষ দুঃখ করছে, তখন কিছু যুক্তিবাদী শ্রীলঙ্কার জায়গায় বাংলাদেশকে কল্পনা করছে।

তারা ভাবছে, বাংলাদেশও এক সময় শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে। কিন্তু এ ধরনের ভাবনা যারা ভাবছেন, তারা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। কেননা- শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনেক শক্তিশালী। 

এখন দেখে নেয়া যাক কোন কোন কারণে বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থার সৃষ্টি হবে না।

> খাদ্য নিরাপত্তা: শ্রীলঙ্কার প্রধান খাদ্যের পুরোটাই আমদানি নির্ভর। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য দেশেই উৎপাদিত হয়।

> বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ: যেখানে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার। সেখানে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন।

> রেমিটেন্স খাত: বাংলাদেশে রেমিটেন্স আয়ে চলছে বিপ্লব। সেখানে শ্রীলঙ্কার রেমিটেন্স কমতে কমতে শূণ্যের কোঠায় নামছে।

> কৃষি খাতকে অবমূল্যায়ন: কয়েক বছর আগে কৃষি খাতে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ায় শ্রীলঙ্কার ফসল উৎপাদন নেমে আসে শূণ্যের কোটায়। আর বাংলাদেশ এখন সবজি রপ্তানিতে শীর্ষের দিকে উঠে আসছে।

> অপরিকল্পিত কর ব্যবস্থা: উন্নয়নের জন্য করের চেয়ে ঋণে মনোযোগ বেশি দেয় শ্রীলঙ্কা। ফলে রাজস্ব আদায়ে নেমে আসে বিপর্যয়। কিন্তু বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রাজস্ব আসে কর থেকে।

> রফতানি আয়: করোনার আগে থেকেই শ্রীলঙ্কার রফতানি আয়ে ভাটা পড়েছিল। করোনাকালে এই ভাটা আরও তীব্রতর হয়। কিন্তু বাংলাদেশের রফতানি আয় এতোই বাড়ছে যে, চলতি অর্থবছর শেষে ৫ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলকে পৌঁছবে।

> মাথাপিছু ঋণ: এতো এতো প্রকল্প চলমান থাকার পরও বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ২৯২.১১ ডলার। আর আমাদের চেয়ে বেশি মাথাপিছু আয় দেখানো শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু ঋণ ১৬৫০ ডলার।

> ভুল প্রকল্পে বিনিয়োগ: শ্রীলঙ্কায় চলমান প্রকল্পের বেশির ভাগই বেহিসাবে ও অপরিকল্পিত। যার সুফল পাচ্ছে না লঙ্কাবাসী। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রতিটা প্রকল্পই নেয়া হয়েছে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিতে। যার উন্নয়ন পুরোটাই ভোগ করছে জনগণ।

> ঋণের সুদে তারতম্য: বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ ঋণ নিয়েছে খুবই সহজ কিস্তি ও স্বল্প সুদে। যা পরিশোধের মেয়াদও অনেক দীর্ঘ। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ঋণ নিয়েছে কঠিন শর্তে ও চড়া সুদে। ফলে শোধ করতে গিয়ে পড়েছে বিপাকে।

>করোনা মোকাবেলায় সাফল্য: শেষ কথা হিসেবে বলতে হয়, করোনা মোকাবেলার কথা। কেননা টানা দুটি বছর বিশ্বের প্রতিটা দেশ করোনার আঘাত সামলাতে নাকাল হয়ে পড়েছে। যে দেশগুলো সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করেছে তাদের আর্থিক ভিত্তি ঠিক আছে। যেসসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশ উপরের সারিতে রয়েছে। আর শ্রীলঙ্কা করোনা মোকাবেলায় সাফল্য না পাওয়ায়ি ভেঙে পড়ে দেশের অর্থনীতি।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশ সরকার এখনো দেশকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েক বছরেও কোনো সঙ্কটের উপর্গ দেখা যাচ্ছে না। এরপরও যারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন, তারা দেশকে বিক্রি করে নিজের সুবিধা নেয়ার আশায় দিন গুনছেন। তবে আপামর জনতা তাদের এই দুরভিসন্ধি কখনো সত্যি হতে দেবে না।

বরগুনার আলো