দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত হচ্ছে বঙ্গভবন। এ লক্ষ্যে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার ও তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধনকালে এ কথা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গভবনের ভেতরে সাধারণত মানুষ আসতে পারে না। এটার ভেতরে কী আছে না আছে, কেউ কিছুই জানে না।’
![ছবি: ফোকাস বাংলা](https://cdn.banglatribune.net/contents/cache/images/640x0x1/uploads/media/2023/01/24/24-01-23-President_Toshakhana-Museum-1-a9d9cb3fe504055a4b599f7065d659cd.jpg)
বঙ্গভবনের তোশাখানা জাদুঘরকে শতাব্দীকালের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গভবনের সমৃদ্ধ ইতিহাস সংরক্ষণ এবং তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ আগন্তুকরা পরিদর্শনকালে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে সক্ষম হবেন।’
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘বঙ্গভবনের অনেক স্থাপনা দেখে মোটামুটিভাবে তারাও আকৃষ্ট হবেন এবং আমাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের মনোভাব অনেক উঁচু হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
একসময় বঙ্গভবনের নাম ছিল ‘মানুক হাউজ’। এরপর ‘গভর্নর হাউজ’। ভিক্টোরীয় স্থাপত্যশিল্পের সঙ্গে ইসলামি ও বাঙালি স্থাপত্যের সমন্বয়ে অনন্য এক নিদর্শন এ ভবনটি এখন রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বাসভবন।
![ছবি: ফোকাস বাংলা](https://cdn.banglatribune.net/contents/cache/images/640x0x1/uploads/media/2023/01/24/24-01-23-President_Toshakhana-Museum-7-334c568fd4ae3aed2f65596cfc869b93.jpg)
দেশের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত প্রাসাদ বঙ্গভবন সম্পর্কে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই।
বঙ্গভবনকে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত করার লক্ষ্যেই তোশাখানা ও এয়ার রেইড শেল্টার হাউজের আধুনিকায়ন এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নবনির্মিত তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করেন। তিনি তোশাখানা জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষের স্থাপনা ঘুরে দেখেন।
বঙ্গভবনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা এই তোশাখানাকে একটি আধুনিক মানসম্পন্ন জাদুঘরে পরিণত করা হয়।
তোশাখানায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার সামগ্রী এবং ঐতিহাসিক ছবি সংরক্ষিত রয়েছে।
দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য এটি সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত থাকবে। আবার বিশ্বের যেকোনও প্রান্ত থেকে অনলাইনেও যে কেউ তোশাখানাটি যাতে পরিদর্শন করতে পারে এবং বঙ্গভবন সম্পর্কে জানতে পারে, সে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, রাষ্ট্রপ্রধান সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার হাউজ উদ্বোধন এবং বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন।
![ছবি: ফোকাস বাংলা](https://cdn.banglatribune.net/contents/cache/images/640x0x1/uploads/media/2023/01/24/24-01-23-President_Toshakhana-Museum-6-3fabd828db565aaf31945fa080843a06.jpg)
১৯৬৫ সালে নির্মিত হলেও পরিত্যক্ত এ শেল্টারটিকে বঙ্গভবনে আগত দর্শনার্থীদের জন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এয়ার রেইড শেল্টার হাউজকে সেই আগের আদলেই সংস্কার করা হয়েছে।
এছাড়া আধুনিক ল্যান্ডস্কেপে সাজানো বঙ্গভবনে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সবুজ উদ্যান, দুম্বা শেড, হরিণ পার্ক, দৃষ্টিনন্দন চারটি পুকুর ও একটি সুইমিংপুলসহ নানা দর্শনীয় স্থান।
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী রাশিদা খানম, সংস্কৃতির বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রেজওয়ান আহাম্মাদ তৌফিক, সংশ্লিষ্ট সচিবরা এবং সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। খবর: বাসস