• রোববার   ০২ এপ্রিল ২০২৩ ||

  • চৈত্র ১৯ ১৪২৯

  • || ১০ রমজান ১৪৪৪

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বৈধ মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ১১৫ টাকা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্নদের যথাযথ পুনর্বাসনে এগিয়ে আসতে হবে সঠিক পরিচর্যায় সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনার সময়োচিত সংস্কারের প্রশংসা বিএনপি ধ্বংস করে, আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে: প্রধানমন্ত্রী পহেলা বৈশাখ থেকে শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই সরকারের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধনী), ২০২৩’এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে জুলাই-জুন মেয়াদে সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয়ায় বিএনপির সমালোচনা প্রধানমন্ত্রীর বাইরে নালিশ করা, কান্নাকাটি করা বিএনপির চরিত্র: শেখ হাসিনা স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছায় বাইডেন বললেন ‘জয় বাংলা’ ‘জিয়াউর রহমান নির্বিচারে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছেন’ অস্বাভাবিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে কিছু লোকের কদর বাড়ে: প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনা ও হ্যান্ডলিং করতে চায় জাপান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের ঋণ কখনো শোধ হবে না: প্রধানমন্ত্রী

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পাশাপাশি জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে চলেছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধানে মৌলিক বিষয়গুলোর (অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা) ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি খাদ্যকেই সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাতির পিতা এ দেশে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠা ও কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। যা আজ পর্যন্ত দেশের কৃষি উৎপাদন এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পাশাপাশি জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে চলেছে। নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। মানুষের এই অধিকার পূরণ করতে আমাদের সরকার ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করেছে এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে অন দ্য স্পট স্ক্রিনিং, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে ও যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির বিষয় মাথায় রেখে ‘কৃষি সম্প্রসারণ নীতি-২০২০’ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের সরকার সারাদেশে একশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে, যেখানে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে ওঠার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি অর্জনে কৃষি গবেষণা এবং উন্নয়ন, কৃষি উপকরণ সরবরাহ, কৃষি সম্প্রসারণ, সেচ কাজে পানির সাশ্রয়ী ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন এই ছয়টি থিম্যাটিক বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখেই প্রতিটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার সার, বীজ ও সেচের সঙ্গে সঙ্গে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ওপর ব্যাপক জোর দিয়েছে। এতে করে খাদ্যের অপচয় এবং অনিরাপদ খাদ্যের ঝুঁকি কমছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। যার যেখানে যতটুকু পতিত জমি আছে তা চাষের আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমি মনে করি, খাদ্যের উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাদপতা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তার যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি যিনি ভোগ করবেন, তার ক্ষেত্রেও নিরাপদতা প্রত্যয়টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, তাই সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমি আশা করি, জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অংশীজনদের প্রায়োগিক ভূমিকার মাধ্যমে আমরা খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো।

বরগুনার আলো