যে কোনো অর্জনেই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়: প্রধানমন্ত্রী
![](https://www.bargunaralo.com/media/imgAll/2021 July/pm-ccc-20230323132005-2303230847.jpg)
মহান অর্জনের জন্য মহৎ ত্যাগ প্রয়োজন–বঙ্গবন্ধুর এ কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে কোনো অর্জনেই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যে কোনো অর্জনের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, সেই ত্যাগ স্বীকার করতে পেরেছি বলেই আমাদের অর্জনগুলো একে একে জনগণের কল্যাণে আনতে পেরেছি।
‘একটা সময় মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বলতে ভয় পেত। তারা মুক্তিযোদ্ধা বললেই অবহেলার স্বীকার হতো। সেটা সরকারি হোক বা বেসরকারি হোক - সব ক্ষেত্রেই এক অবস্থা ছিল। সেখান থেকে তাদের উত্তরণে কাজ করে চলেছে বর্তমান সরকার। আমাদের এই মহান স্বাধীনতায় যারা জীবন দিয়ে গেছেন, রক্ত দিয়ে লিখে গেছেন আমাদের স্বাধীনতার নাম, তাদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না; আমরা বৃথা যেতে দেব না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। মানুষের এ আত্মত্যাগ কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।'
পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন সরকারে আসে তখনই কিন্তু ধীরে ধীরে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে শুরু করে। কারণ ক্ষমতাকে আমরা বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ হিসেবেই দেখি। এর মাঝে অনেক চড়াই-উতরাই, অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। এটুকু বলতে পারি, ২০০৮-এ নির্বাচিত হয়ে ২০২৩ - এ একটানা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই কিন্তু আজকের উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের কাজ শুরুর পর যখন মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের। সেই সময়টাতেই দেশ আসলে চরম আঘাতের সম্মুখীন হয়, থেমে যায় দেশের অগ্রযাত্রা। থেমে যায় স্বাধীনতার চেতনা; বিকৃত করা হয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে। বাংলাদেশ আবার থমকে দাঁড়ায়। রক্তস্নাত স্বাধীনতা কখনও বৃথা যেতে পারে না; যেতে দেয়া হবে না। স্বাধীনতা পুরস্কারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবার পাশে থেকে দেখেছি কীভাবে তিনি দেশের মানুষের কথা ভাবতেন। কীভাবে দেশ গঠন করার কথা চিন্তা করতেন। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। যে আদর্শ ও চেতনা নিয়ে এ দেশটি স্বাধীন হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তা অনেক দূরে চলে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একটা সময় মুক্তিযুদ্ধে অবদানকারী অনেক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। যে নেতারা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন তাদেরকেও (জাতীয় চার নেতা) জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যা-খুনই ছিল বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে। গণতন্ত্রের পরিবর্তে আসে মার্শাল ল। তখন মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। মুষ্টিমেয় মানুষকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে, তাদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করা হতো। জনগণের কোনো অধিকার ছিল না, এটাই ছিল বাস্তবতা।
দীর্ঘ ৬ বছর পর দেশে ফিরে আসার সুযোগ পাই। তখন বাংলাদেশের হাটে-ঘাটে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে বিচরণ করি, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিজ চোখে দেখেছি। বাবার বড় সন্তান হওয়ায় তার দেশ গঠনের সব চিন্তাভাবনা জানতাম। তাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে বাবার নীতি অনুসরণ করে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছি বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে আবার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। পঁচাত্তর সাল থেকে বারবার গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকতে পারেনি। রাজনীতি স্থিতিশীল থাকতে পারেনি। কাজে, বাংলাদেশ সেভাবে এগুতে পারেনি। যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বাংলাদেশকে নিয়ে কী চিন্তা করে; সেটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক দেশ, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেনি, তাদের বক্তব্য ছিল; এ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কী হবে? এটা ছিল তাদের ধারণা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের পর করোনার ধাক্কা, এরপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে। আমরা যা করছি সব পরিকল্পিতভাবে করছি। আমাদের সরকার সবসময় গবেষণায় জোর দিচ্ছে। বিষয়ভিত্তিক গবেষণায় আমরা জোর দিয়েছি।’
করোনার ক্ষতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজানে এক কোটি পরিবারকে কমমূল্যে পণ্য দিচ্ছি। আমরা ভর্তুকি দিয়ে রমজানের পণ্য তাদের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করছি। আমরা মানুষের কষ্ট যখন দেখি, তখন তা কীভাবে লাঘব করব - সেই কাজ করছি।’
নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে তখন বলেছিলেন বাংলাদেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব না। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করেছি। আমরা বলেছিলাম, নিজেদের টাকায় সেতু করব। বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমরা পদ্মা সেতু করে দেখিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশ পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেই দেশের বর্তমান উন্নয়ন-অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। অতীতের সরকারগুলোর দেশ নিয়ে কী ধারণা ছিল, সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় আছে বলেই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে, তাই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার যেখানে ৪০ ভাগের ওপরে ছিল সেখানে আমরা কমিয়ে এনেছি ২০ ভাগে। আরও একটি সুখবর দিতে পারব, আমাদের দারিদ্র্যের হার আরও হ্রাস পেয়েছে। যেটা সঠিকভাবে এখন তথ্য নেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা পেয়েছি, এটাকে ধরে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও আমরা নিয়েছি।
‘কারণ আমরা যা করেছি, সবকিছু পরিকল্পিতভাবে করেছি। কোনো কাজ অ্যাডহোক বেসিসে নয়। এই পদক্ষেপ নিলে আমার দেশ কোথায় যাবে, কতটুকু আমরা এগোতে পারব, গণমানুষের কতটুকু উন্নতি হবে - এমন একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। একদিকে যেমন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, তারই সঙ্গে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং ঠিক জনগণের কাজে কী লাগবে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।’
বরগুনার আলো- উপাচার্যসহ ২০ জনকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা
- নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে : বাহাউদ্দিন নাছিম
- আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল
- সাগরে লঘুচাপ, যেসব বিভাগে বৃষ্টির আভাস
- প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে : কাদের
- রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে
- স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
- নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৪ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার
- টানা ৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
- ৩০০ কক্ষ ভাঙা হয়েছে, মেরামতের আগে হল খোলা সম্ভব নয়: ঢাবি ভিসি
- বিজিবির পাহারায় সারা দেশে তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
- ১৬ কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ করল বিজিবি
- বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ
- গুজব যাতে না ছড়ায়, চেষ্টা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- চারদিনে খান ইউনুসে বাস্তুচ্যুত ১৮০,০০০: জাতিসংঘ
- বৃষ্টিভেজা প্যারিস অলিম্পিকের চোখ ধাঁধানো উদ্বোধন
- রিমান্ড শেষে কারাগারে নুর
- পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে
- সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
- দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে অপরাধীদের খুঁজে বের করুন
- সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ
- জুলুম সমর্থনকারীদের হাশর হবে জালিমের সাথেই
- সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর বিএনপি
- কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- বরিশাল থেকে লঞ্চ ও বাস চলাচল শুরু
- বরিশালে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ল
- সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান
- আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না
- যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে
- সরকার পতনের ‘ব্লু প্রিন্ট’: বিমানবন্দর ও বিটিভি দখল করতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা
- বরিশাল বিভাগের নদ-নদীর পানি ৫ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে
- পায়রার পাশেই আরএনপিএল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র॥ উৎপাদনে আসছে সেপ্টম্বরে
- জাল মুদ্রা-মোটরসাইকেলসহ বরগুনার দুই প্রতারক সদস্য আটক
- বিসিএসে সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারি হয় তাহসানের মায়ের আমলেই
- তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- তারেককে ফেরাতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চলমান রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
- আইনমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা
- পানির ফিল্টারের ঘোষণা, কনটেইনারে এলো ৫০ লাখ সিগারেট
- ভোলায় নারীকে ইভটিজিং করা এক ব্যক্তির কারাদন্ড
- কোটা আন্দোলন: গর্ত থেকে বের হচ্ছে ছাত্রদল-শিবির ক্যাডাররা
- চরখালীতে হচ্ছে মৈত্রী সেতু উপকূলে আনন্দের বন্যা
- প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে স্পেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- বরিশালে হাইড্রোলিক হর্ন প্রতিরোধ সচেতনতায় র্যালি
- বিমানবন্দর গোলচত্বরে হচ্ছে বৃহত্তম আন্ডারপাস
- নুরের পথ ধরেই নাহিদরা, আড়ালে তিন ছাত্র সংগঠন
- ১ লাখ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে কোকা-কোলাকে লিগ্যাল নোটিশ
- এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের সময় বাড়ানোর নির্দেশ
- ডায়াবেটিস রোগীদের কতটুকু কাঁঠাল খাওয়া উচিত?
- সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে
- কোটা আন্দোলনে যারা উস্কানি দিচ্ছে তাদের ক’জন বিসিএসে চান্স পেয়েছে?