• বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩০

  • || ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
মহামারী ঠেকাতে বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব শান্তিতে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা জাতিসংঘে এখনও নারী মহাসচিব হননি, আক্ষেপ শেখ হাসিনার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রীর ৫ দফা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইএইএ`র মহাপরিচালকের বৈঠক বাংলাদেশ কখনও ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি : প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে দ্রুত বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান রাষ্ট্রপতির কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক এবার বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর ভোট দিলে এদিকে না দিলে ওদিকে দেশে কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না: শেখ হাসিনা মানুষ যেন ভোট দেয়, সেই পরিবেশ তৈরি করুন- প্রধানমন্ত্রী আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে কাঁচা রাস্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সংকটেও দেশে খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত : প্রধানমন্ত্রী সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণকে আরো সম্পৃক্ত করতে হবে বাংলাদেশে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিএনপির আমলে দেশের অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়েছিল: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়েছিল

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে দেশে চা উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩  

চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে চা শিল্প সংশিষ্টদের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে একথা বলেন তিনি।

রোববার (৪ জুন) ‘জাতীয় চা দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে সাহাবুদ্দিন চা শ্রমিক, মালিকসহ এ শিল্পের সঙ্গে সংশিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।। তিনি বলেন, চা সারাবিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে প্রথম চা চাষ শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নে চা গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরি স্থাপনের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া স্বাধীনতার পর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা শিল্প পুনর্গঠনে বাগান মালিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। তিনি ১৯৭৩ সালে শ্রীমঙ্গলস্থ ‘টি রিসার্চ স্টেশন’কে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত করেন। এটি বর্তমানে ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)’ হিসেবে দেশের চা গবেষণার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

এক সময় চা ছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালে ‘উন্নয়নের পথনকশা: বাংলাদেশ চা শিল্প’ অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া, চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন চা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধিসহ তাদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাসস্থান, শৌচাগার ও নলকূপ স্থাপন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ বছর চা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিক-বান্ধব চা শিল্প’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ চা শিল্প সংশিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় চা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

বরগুনার আলো