• শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩০

  • || ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
গণহত্যা প্রতিরোধে বিশ্বের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগানোর আহ্বান প্ সায়মা ওয়াজেদের জন্মদিন আজ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবেশ দ্বার হিসেবে কাজ করবে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবকে সব সময় হৃদয়ের কাছাকাছি পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস আজ আজ স্বৈরাচার পতন দিবস সরকার গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপমহাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে সোহরাওয়ার্দী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র: রাষ্ট্রপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ সবসময় সাহস জোগায়: প্রধানমন্ত্রী অবসরের তিন বছরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচন করতে পারবে না বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী শেখ ফজলুল হক মনির ৮৫তম জন্মদিন আজ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধানমন্ত্রী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের বিভিন্ন স্থান আইএমও’র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাকির

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিটের (এফডিআর) রসিদের তথ্য, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও গাড়িসহ অবৈধ উপায়ে অর্জিত প্রায় ৫৭ কোটি টাকা সম্পদের খোঁজ মিলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভগের চেম্বার আদালত। তবে তার পাসপোর্ট দাখিল করার শর্তে বহাল রাখা হয়েছে জামিন।

আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। ওই কর্মকর্তা বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে কর্মরত বলেও জানান আইনজীবী।

তার জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। পরে ওই জামিন স্থগিত ও বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ।

এরে আগে গত ২৯ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল বিন আতিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় উচ্চ আদালত ছয় সপ্তাহের মধ্যে জাকির হোসেনকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছিলেন। উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আসামি ২৯ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তবে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর অবকাশকালীন আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। বর্তমানে মামলা তদন্তাধীন রয়েছে বলেও জানান দুদকের আইনজীবী।

গত ১৪ মার্চ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ আনা হয়।

জাকির হোসেনের জমা দেওয়া আয়কর নথি ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে দুদক তার অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের তথ্য পায়। ২০২১-২২ আয়কর নথি অনুযায়ী, জাকির হোসেনের নামে ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কে ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় ২৬৩ অজুতাংশ জমির ওপর ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭০০ টাকা খরচ করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণসহ মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। এছাড়া ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা গাড়ি, নগদ ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৭০ টাকা ও ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত ৭২ হাজার ৫০৬ টাকাসহ মোট ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য রয়েছে আয়করে। সব মিলিয়ে জাকির হোসেনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৬ টাকা।

ওই সম্পদের বিপরীতে আয়ের উৎস সম্পর্কে তিনি সঠিক তথ্য প্রদর্শন করতে সক্ষম হননি বলে ওই সম্পদ তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।

তাছাড়া অনুসন্ধানে আসামির নামীয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, বাগেরহাট শাখায় বিভিন্ন সময়ে ৭টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩১ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার নয়শ ১৩ টাকা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ভিকারুননিসা নুন স্কুল শাখার ১টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৪ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার নয়শ ৩০ টাকা এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় এফডিআর হিসাবে ৫ কোটি ৬২ লাখ ৩৫ হাজার একশ ৫৯ টাকাসহ সর্বমোট ৪১ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যাংকগুলোতে লেনদেন করা ওই অর্থের বৈধ উৎস সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র অনুসন্ধানের সময় পাওয়া যায়নি।

মামলার বিবরণীতে আরও বলা হয়েছে, আসামিরা আরও অনেক অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন, যেগুলোর আয়ের উৎস উল্লেখ নেই।

জাকির হোসেন ১৯৯২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি ১৯৯৫ সালে কুয়েত দূতাবাসে এবং ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বরগুনার আলো