• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যুদ্ধাপরাধীদের শহীদ বলা আদালত অবমাননার শামিল

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২২  

যুদ্ধাপরাধীদের শহীদ বলে আখ্যা দেয়া আদালত অবমাননার শামিল বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে। এদিকে যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকারের সন্তানদের রাজনীতি বন্ধ করা, ফাঁসি কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের শহীদ বলার পথরুদ্ধ করতে আইন করার দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বলেন, এই আওয়ামী সরকারকে বলে দিতে চাই যখন আপনারা ক্ষমতা ছেড়ে বাড়ি যাবেন একা যেতে পারবেন না, আমরা বাধ্য করব প্রতিটা শহীদের বাড়িতে ক্ষমা চেয়ে যেতে হবে।

কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মামের এমন বক্তব্যে দলের ভেতরে আলোচনা হলেও দায় নিতে রাজি নয় বিএনপি। হুম্মামের বক্তব্য ব্যক্তিগত বলে পরিস্থিতি এড়িয়েছে দলটি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যার দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধীর ছেলের এমন বক্তব্যকে ধৃষ্টতা হিসেবে দেখছেন বিচারসংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে সাকা চৌধুরীর চট্টগ্রামের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। রাজাকারদের সন্তানদের রাজনীতি নিষিদ্ধ, বাড়িঘর-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় দিয়েছে তারা।

এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাসহ দণ্ড কার্যকর হওয়া অন্য ব্যক্তিদেরও শহীদ বলে আখ্যায়িত করে আসছে অপরাধী সংগঠন জামায়াত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আদালত অবমাননা করেছেন হুম্মাম। এ কারণে তাকে আনতে হবে আইনের আওতায়।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে যেটা বলছেন তার মাধ্যমে আমাদের সংবিধান ও আইন-আদালতকে তিনি অস্বীকার করছেন। এর মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতা কাজ করেছেন।  

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, এটা তো আদালত অবমাননারও শামিল। আমাদের উচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

আইন করে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের রাজনীতি বন্ধ করা, যুদ্ধাপরাধীদের শহীদ বলার পথরুদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, এ দেশে বঙ্গবন্ধু শহীদ হবে, নিজামী ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও শহীদ বলা হবে। শহীদের এত বড় অপমান তো আর কিছু হতে পারে না। সে জন্য আমরা মনে করি, এটা একেবারে আইন করে দিতে হবে যাতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাদের বিচার হচ্ছে, গণহত্যার দায়ে যাদের বিচার হচ্ছে এরা নামের সঙ্গে কেউ শহীদ লিখতে পারবে না। এদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে ও সন্তানদের রাজনৈতিক অধিকার রোহিত করতে হবে।

এসবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের আরও কঠোর হওয়ার দাবি একাত্তরের ঘাতক দালান নির্মূল কমিটির।

বরগুনার আলো