• শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩০

  • || ০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যারা স্যাংশন দিয়েছে তাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আছে: প্রধানমন্ত্রী সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী মানুষ ও নেতা শেখ হাসিনা মহামারী ঠেকাতে বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব শান্তিতে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা জাতিসংঘে এখনও নারী মহাসচিব হননি, আক্ষেপ শেখ হাসিনার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রীর ৫ দফা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইএইএ`র মহাপরিচালকের বৈঠক বাংলাদেশ কখনও ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি : প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে দ্রুত বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান রাষ্ট্রপতির কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক এবার বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর ভোট দিলে এদিকে না দিলে ওদিকে দেশে কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না: শেখ হাসিনা মানুষ যেন ভোট দেয়, সেই পরিবেশ তৈরি করুন- প্রধানমন্ত্রী আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে কাঁচা রাস্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সংকটেও দেশে খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত : প্রধানমন্ত্রী সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণকে আরো সম্পৃক্ত করতে হবে

সিদ্ধান্ত বদলালেন খুরশীদ আলম, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলায় লড়বেন

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি জানিয়েছেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের করা মামলা পরিচালনা করবেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আমার চেম্বারে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসেছিলেন। দীর্ঘক্ষণ আলাপ হয়েছে। আলাপে কর্মকর্তা বলেছেন, আমি আগে যেভাবে মামলা পরিচালনা করেছি, সেভাবেই মামলা পরিচালনা করবো। আমি কাল শ্রম আদালতে যাবো।’

যদিও একইদিন সকালে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, এ মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর অন্য আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে থাকলে এ মামলা থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।

সম্প্রতি এ মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত প্রসিকিউটর ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলীকে নিয়োগ দেয় সরকার।

সৈয়দ হায়দার আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘শ্রম আদালতে গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এ মামলায় আমি শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেছি। আদালতে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন খুরশীদ আলম খান সাহেবও ছিলেন।’

গত ৩১ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ছিল। কিন্তু ওইদিন সকালে এক সাক্ষীর বাবা মারা যাওয়ায় বাকি সাক্ষ্যগ্রহণ আর হয়নি। পরে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবীদের আবেদনে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পিছিয়ে আজ (৫ সেপ্টেম্বর) নির্ধারণ করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪- এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এরমধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা হয়।

এর আগে ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এরপর গত ৬ জুন মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয়। কিন্তু এ মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূস হাইকোর্টের আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট সে আবেদন খারিজ করার পর আপিল বিভাগ সে খারিজ আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর পরে নিয়মানুযায়ী বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে গত ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

বরগুনার আলো