• মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১০ ১৪৩০

  • || ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণের ৪৯তম বার্ষিকী আজ তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগে জনগণকে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ চুরি করা অর্থ দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে: প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জন্য সমুদ্রগুলো যেন সমৃদ্ধির উৎস হয়ে থাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে বাংলাদেশ পুতুলের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে: প্রধানমন্ত্রী কোরআন পোড়ানো নিয়ে শেখ হাসিনার নিন্দা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে: প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ছাড়া দেশকে কিছুই দিতে পারেনি বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ভিয়েতনাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই বাংলাদেশের অগ্রাধিকার: উজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী যারা স্যাংশন দিয়েছে তাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আছে: প্রধানমন্ত্রী সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

কোটি টাকার প্রতারণা: এমটিএফই অ্যাপস বন্ধ, মূলহোতারা ওমরা হজে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২৩  

ডেসটিনি, রিং আইডি, নিউওয়ে, আমাজান বিডি, এসবিএসএল এবং ইভ্যালির পর এবার বিদেশ থেকে পরিচালিত এমটিএফই অ্যাপে প্রায় শতকোটি টাকা খোয়ালেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় দুই হাজার মানুষ। গত শুক্রবার মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) পদ্ধতিতে পরিচালনা করা এ অ্যাপসটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

বিনিয়োগকারীরা জানায়, রাতারাতি কোটিপতি হওয়ায় আশায় কুমারখালীসহ কুষ্টিয়া জেলায় অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ প্রায় ৮ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেছিলেন এমটিএফই অ্যাপসে। গত শুক্রবার থেকে অ্যাপসটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং ( এমএলএম) পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করত। যা দেশের আইনে অবৈধ।

জানা গেছে, কুমারখালীতে এমটিএফইর মূলহোতা পৌরসভার বাটিকামারা মধ্যপাড়ার মৃত মসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান। তিনি ফেমাস ফুলকুঁড়ি বিদ্যালয়ের পরিচালক। এবং তার প্রধান সহকারী ছিলেন পৌরসভার ঝাউতলা এলাকার মৃত তোফাজ্জেলের ছেলে মো. মাসুম আলী। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। চাকরি করতেন ঢাকা হেড কোয়াটারের আইটি সেক্টরে। সম্প্রতি তিনি পুলিশের চাকরি ছেড়ে এমটিএফইসহ বেশকিছু অনলাইন ব্যবসা শুরু করেন।

কুমারখালী বাসস্টান্ড সংলগ্ন সিঙ্গার প্লাজার দোতালায় অফিস করে প্রায় দেড় বছর ধরে এ ব্যবসা পরিচালনা করেন। মাসুম ও মিজানের মাধ্যমে উপজেলায় প্রায় দুই হাজার মানুষ বিনিয়োগ করেছে। প্রত্যেকে ৮ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেন।

আরও জানা গেছে, কারোর মাধ্যমে ১০০ জন বা দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে কোম্পানি তাকে কান্ট্রি অফ অপারেশন সার্ভিস ( সিইও) পদমর্যাদা দেয়। মিজানুর কুষ্টিয়ার এমটিএফইর প্রধান সিইও পদে ছিলেন। তার পরের স্থান মাসুম আলীর। মাসুমের মা রেখা খাতুনও আছে সিইও পদে। গত ১১ আগস্ট মিজানুর ও মাসুম ওমরা হজে গিয়েছেন। এরপর থেকেই অ্যাপসটিতে নানা সমস্যা ও কমিশন কমে যায়। আর গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) থেকে অ্যাপস বন্ধ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ঝাউতোলার সান্টুর কলেজ পড়ুয়া ছেলে আব্দুস সামাদ জানান, তিনি জানুয়ারি মাসে মাসুমের মাধ্যমে ৯০০ ডলার (প্রায় এক লাখ ৪ হাজার টাকা) বিনিয়োগ করেন। প্রথমদিকে ভালই লাভ হতো। মাসখানেক ধরে অ্যাপসে নানা জটিলতা দেখা যায়। লাভও কমে যায়। গত শুক্রবার তার এক হাজার ৪০০ ডলার নিয়ে কোম্পানি হারিয়ে গেছে। তার ভাষ্যমতে, জেলায় অন্তত পাঁচ হাজার জন বিনিয়োগ করেছিলেন।

হলবাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, ‘মাসখানেক আগে ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ হাজার ২০০ টাকা উত্তোলন করেছেন। হঠাৎ অ্যাপসটি অচল হয়ে গেছে। আমি ছাড়াও কুমারখালী থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষের শত কোটি টাকা নিয়ে গেছে কোম্পানিটি।’

এলংগীপাড়ার ব্যবসায়ী শিপলু খান বলেন, ‘তিনি মাসুমের মাধ্যমে তিন মাস আগে এক লাখ ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। পদের লোভে তিনি আরও দশজনকে বিনিয়োগ করিয়েছেন। কিন্তু এখন তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।’

শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউতলা এলাকায় সিইও মাসুম আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মাসুমের ঘরে এমটিএফইর বিভিন্ন জনের হিসাবের খাতা ও ফাইলপত্র। সৌদিআরবে ওমরা হজে গেছেন মাসুম আলী।

এ সময় তার মা রেখা খাতুন বলেন, ‘মাসুম পুলিশের চাকরি করত। চাকরি ভাল না লাগায় দেড় বছর আগে ছেড়ে দেয় এবং এমটিএফই ও বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসা শুরু করে। তিনি নিজেও ছাগল বিক্রি করে ছেলের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনিও সিইও পদে আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার ছেলের দোষ নেই। মানুষ রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার লোভে বিনিয়োগ করেছে। তার ছেলে সৌদিআরব হজে গেছেন।’

প্রধান সিইও মিজানুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে জানা যায় তিনিও হজে গেছেন। বাড়িতে আছেন তার স্ত্রী সুমি খাতুন। তবে তিনি এসব নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে এমপিএফই সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।’

বরগুনার আলো