• বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩০

  • || ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
উপমহাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে সোহরাওয়ার্দী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র: রাষ্ট্রপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ সবসময় সাহস জোগায়: প্রধানমন্ত্রী অবসরের তিন বছরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচন করতে পারবে না বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী শেখ ফজলুল হক মনির ৮৫তম জন্মদিন আজ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধানমন্ত্রী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের বিভিন্ন স্থান আইএমও’র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত: রাষ্ট্রপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বিশ্ব ইতিহাসে বিরল ঘটনা তরুণদের মুখোমুখি সজীব ওয়াজেদ জয় বিখ্যাত মার্কিন সাপ্তাহিক নিউজ ম্যাগাজিন নিউজউইকে শেখ হাসিনার নিবন্ধ ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য সুন্দর নির্বাচন বঙ্গবন্ধু টানেলে ৩০ দিনে টোল আদায় ৪ কোটি টাকা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অব্যাহত সমর্থন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মানুষের গতিশীলতায় জলবায়ুর প্রভাব: ৫ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর মোহাম্মদ হানিফ তাঁর কর্মের মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন : রাষ্ট্রপতি

পারিবারিক বিরোধে হাসানকে হত্যা, দশ টুকরো করে স্ত্রী-সন্তান

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

পারিবারিক বিরোধের জেরেই খুন করা হয়েছিল মো. হাসানকে (৬১)। হত্যায় অংশ নিয়েছিল নিজের দুই ছেলে ও স্ত্রী। তাকে হত্যার পর লাশ দশ টুকরো করা হয়। খণ্ডিত অংশগুলো তিন ব্যাগে ঢুকিয়ে পৃথক তিন স্থানে ফেলা হয়। তাকে খুন করা হয় চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর আকমল আলী সড়কের পকেট গেট এলাকার জমির ভিলা নামক ভবনের ছোট ছেলের বাসায়।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী হোসনে আরা ও বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য দিয়েছেন।

পিবিআই কর্মকর্তারা বলছেন, হাসান দীর্ঘ ২৭ বছর পরিবার থেকে আলাদা ছিলেন। তিনি সম্প্রতি ফিরে এসে গ্রামের (বাঁশখালীর) ভিটেবাড়ি বিক্রির চেষ্টা করেন। এতে স্ত্রী-সন্তানরা বাধা দিলে তিনি তাদেরও অস্বীকার করেন। তার ভাইয়ের কাছে এসব সম্পত্তি বিক্রির জন্য কাগজপত্রও তৈরি করেন। এর জেরেই তাকে খুন করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে শুধু পরিবারের সদস্যরাই জড়িত নাকি বাইরের কেউ আছে তা খতিয়ে দেখছে পিবিআই। হাসানকে হত্যার পর লাশ ১০ টুকরো করা হয়। এর মধ্যে হাত-পাসহ আট টুকরো ফেলা হয় পতেঙ্গা থানাধীন ১২ নম্বর ঘাট এলাকায়। পেটসহ শরীরের মাঝখানের অংশ ফেলা হয় ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের খালপাড় এলাকার বিলে। তবে মাথার অংশটি কোথায় ফেলা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে তদন্ত সংস্থা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, ‘মো. হাসানের পরিচয় শনাক্তের পর শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিহতের স্ত্রী এবং বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। রবিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করে মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদনের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আদালত শুনানি শেষে তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় এবং পাঁচ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদেরকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে হত্যায় জড়িত থাকার কথা তারা স্বীকার করেছেন। জমি সংক্রান্ত তথা পারিবারিক বিরোধের জেরেই তাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে তারা জানিয়েছেন।’

পিবিআই পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান আরও বলেন, ‘লাশের ফিঙ্গার প্রিন্ট, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ক্লু-বিহীন এবং মাথাবিহীন লাশটির পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকার সাহেব মিয়ার ছেলে। নিহতের স্ত্রীসহ দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে আছে। তবে তিনি খুন হন নগরীর ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর আকমল আলী সড়কের পকেট গেট এলাকার জমির ভিলা নামক ভবনের ছোট ছেলে শফিকুর রহমান ওরফে জাহাঙ্গীরের বাসায়। ঘটনার পর থেকে শফিকুর রহমান এবং তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে।’

পিবিআইয়ের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় লাগেজভর্তি লাশের আটটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই। উদ্ধার হওয়া খণ্ডিত অংশগুলো কার তা চেনা কিংবা জানার উপায় ছিল না। কেননা লাশের মাথার অংশটি ছিল না। পরে প্রযুক্তিসহ নানান চেষ্টায় ক্লু-বিহীন এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি।’

বরগুনার আলো