• শুক্রবার ০২ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৮ ১৪৩০

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৪

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট বাজেট পেশ আজ অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে মহামারি সৃষ্টি করছে তামাক: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সুইডেনের বড় বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী মুসলমানরা কেন পিছিয়ে পড়ল তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন এবারের বাজেট ৭ লাখ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ সংঘাত নয়, আলোচনায় সমাধান চাই: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও চীনের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে আরো জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে আমরা আর অশান্তি-সংঘাত চাই না, সবার উন্নতি চাই: শেখ হাসিনা শিল্পাচার্য জয়নুলের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে অনুপ্রেরণা যোগাবে: রাষ্ট্রপতি এশিয়ার ‘আয়রন লেডি’ শেখ হাসিনা : দ্য ইকোনমিস্ট আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: প্রধানমন্ত্রী

বিনামূল্যে গরু-ছাগল-মুরগি পাবে ৬৫ হাজার পরিবার

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩  

দেশের ৩১টি চরাঞ্চলের ৬৫ হাজার ২৯০ পরিবারে বিনামূল্যে গরু, ছাগল, ভেড়া ও হাঁস-মুরগি বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব প্রাণীর খাদ্য, ওষুধ এবং ভ্যাকসিনও দেওয়া হবে বিনামূল্যে। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রকল্পের মূল্যায়ন শেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ৩০৩ কোটি টাকা। চরাঞ্চলের মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন, জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এসব অঞ্চলের নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়বে। ওই এলাকার মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া কর্মসংস্থানের ফলে নারীর আয় বাড়বে এবং ক্ষমতায়ন ঘটবে। প্রকল্পটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ব্যবসায়ী উদ্যোগ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলাসহ পরিবেশের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা. মলয় কুমার শূর বলেন, আমরা এরই মধ্যে চরাঞ্চলে বিনামূল্যে গরু, ছাগল, ভেড়া ও হাঁস-মুরগি বিতরণের প্রকল্প হাতে নিয়েছি। পরিকল্পনা কমিশন সবকিছু ঠিক করেছে। আশা করছি সামনের একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করতে পারবো। প্রকল্প এলাকার মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হবে। প্রাণিসম্পদ নির্ভর জীবিকার উন্নয়ন করা হবে।

কীভাবে সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মলয় কুমার শূর বলেন, উপজেলা প্রশাসনের কমিটি আছে। সেই মোতাবেক পরিবার নির্বাচন করা হবে। ৬৫ হাজার ২৯০টি পরিবার হাঁস-মুরগি, ছাগল-গরু অনুদান হিসেবে পাবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের ৩১টি উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষ এ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এর মাধ্যমে এসব এলাকায় নদী তীরবর্তী ৬৫ হাজার ২৯০টি দরিদ্র পরিবারের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর চর এলাকায় দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকায় ১০টি পশুসম্পদ প্যাকেজ গ্রহণ করা হবে।

প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ৩২ হাজার ৯০০ পরিবারকে ২৫টি করে মুরগি দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২৩টি মুরগি এবং দুটি মোরগ থাকবে। এ ছাড়া মুরগির ঘর, খাদ্য, ভ্যাকসিন ও ওষুধ দেওয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় ১৬ হাজার ৪৫০ পরিবারকে ২১টি করে হাঁস দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১৮টি হাঁসি এবং ৩টি হাঁসা থাকবে। হাঁসের সঙ্গে ঘর, খাদ্য, ভ্যাকসিন ও ওষুধ দেওয়া হবে।

এছাড়াও ৮ হাজার ২২০ পরিবারকে দেওয়া হবে দুইটি করে ছাগল। পাশাপাশি ছাগলের ঘর, খাদ্য, ভ্যাকসিন ও ওষুধ দেওয়া হবে। এক হাজার পরিবারকে দুইটি করে পাঁঠা দেওয়া হবে। তাদের খাদ্য, বাসস্থান, ভ্যাকসিন ও ওষুধও থাকবে। ৪ হাজার ১১০ পরিবার পাবে তিনটি করে ভেড়া। এর মধ্যে দুইটি ভেড়ি এবং একটি ভেড়া থাকবে। সঙ্গে থাকবে ভেড়ার ঘর, খাবার এবং ওষুধ।

প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৬৫০ পরিবারকে একটি করে বকনা বাছুর দেওয়া হবে। এর সঙ্গে খাদ্য, ভ্যাকসিন এবং ওষুধও দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় ৩৬০ পরিবারকে কবুতর ও কোয়েল পাখি দেওয়া হবে। এর সঙ্গে দেওয়া হবে বাসস্থান, ভ্যাকসিন ও ওষুধ। প্রকল্পের আওতায় ৩৬০টি ঘাসের প্রদর্শনী প্লট (২০ শতাংশ জায়গায়) দেওয়া হবে এবং ২৪০টি উন্নত জাতের ঘাস দ্বারা সাইলেজ তৈরি প্রদর্শনী করা হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় এক বছর বয়সী একেকটি বকনা বাছুর কেনা হবে ৯০ হাজার টাকায়। যদিও সমজাতীয় চলমান প্রকল্পে এই গরু কেনা হচ্ছে ৬১ হাজার টাকায়। একেকটি ভেড়া এবং ছাগল কেনা হবে ১১ হাজার ২০০ টাকায়। অন্য প্রকল্পে ছাগল কেনা হচ্ছে ৮ হাজার টাকায়। প্রতিটি মুরগি কেনা হবে ৪২০ টাকায়।

বরগুনার আলো