• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দুর্গম পাহাড়ে ‘সীমান্ত সড়ক’ নির্মাণে অসাধ্যকে সাধন করছে তারা

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩  

এক হাজার ৩৬ কিলোমিটার সড়ক। তা-ও আবার দেশের পার্বত্য তিন জেলার সীমান্ত পাহাড়ে। সমতলে যত সহজে শ্রমিক এবং নির্মাণসামগ্রী পাওয়া যায়, তত সহজে পাহাড়ে এসব উপকরণ পাওয়া যায় না। সব মিলিয়ে বলা যায় এক অসাধ্য সাধন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

দুর্গম পাহাড়ে সড়ক নির্মাণ। নাম তার 'সীমান্ত সড়ক'। সমতলে একটি ইটের দাম ৯ টাকা, একটি ইট ৯ টাকা দিয়ে কিনে সেটি পাহাড়ি পথ বেয়ে সীমান্তের কাছাকাছি আনতে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় অন্তত ৩ থেকে ৪ গুণ। একইভাবে সড়ক তৈরির সব উপকরণ তো বটেই, নির্মাণশ্রমিক পেতেও বেগ পেতে হয় দুর্গম পাহাড়ে।

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার শেষ প্রান্তে দুর্গম পাহাড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে সীমান্ত সড়কটি। যার ব্যাপ্তি রামগড় থেকে টেকনাফ। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে এই সড়ক লাগোয়া বেশ কিছু সংযোগ সড়কও। ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মিত হচ্ছে তিনটি ধাপে। প্রথম পর্যায়ে ৩১৭ কিলোমিটারের মধ্যে এরই মধ্যে দৃশ্যমান ১৭৩ কিলোমিটার। আগামী বছরের মধ্যেই ৩১৭ কিলোমিটার সড়ক দৃশ্যমান হবে।
 
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মুস্তাফা নাহিয়ান রশীদ বলেন, ‘সড়ক নির্মাণের সামগ্রীগুলো পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে, এর দামও বেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে এখানে যেসব নির্মাণশ্রমিক রয়েছেন, তাদের পাওয়াটা দুগম পাহাড় হওয়ায় কঠিন হয়ে পড়ে।’
 
এরপর ধীরে ধীরে রূপ দেয়া হচ্ছে সড়কের। কর্মকর্তাদের আশা, ২০২৮ সালের মধ্যে বাকি ৭১৯ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলের উপযোগী হবে।
 
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল ভূঞা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘বাকি যে রাস্তা রয়েছে, ২০২৮ সালে শেষ হবে বলে আমি মনে করি। ২০১৮ সালে কাজটি শুরু হয়েছে। আমাদের দ্বিতীয় পর্যায়ে পিপি প্রস্তুত হচ্ছে, এটি যদি অনুমোদিত হয়ে যায় প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হতে হতেই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করতে পারব।’
 
গহিন অরণ্যে জীবজন্তু আর সাপের ভয় ছাড়াও আছে পদে পদে বিপদ। সুপেয় পানির সংকট, ভূমিধসের ঝুঁকি। নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের উপায় একমাত্র ইন্টারনেট। সেটি পাওয়া যায় কেবল কাজ শেষে আর্মি ক্যাম্পে ফেরার পর। অসুস্থ হলে দ্রুত শহরে নেয়ারও উপায় নেই। এসব ঝুঁকি আর বিপদ মোকাবিলা করেই দেশের জন্য কাজ করছেন নির্ভীক সৈনিকরা।

বরগুনার আলো