• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে

৬৯-এ পা দিল গৌরবের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২১  

১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই দেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। আজ ৬ জুলাই সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। অথবা বলা যায়, ৬৯-এ পা রাখছে উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ ও গৌরবময় এই বিদ্যাপীঠ। প্রায় সাত দশক ধরে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। মাত্র দুটি অনুষদের ছয়টি বিভাগ নিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল, আজ সেখানে ১২টি অনুষদের ৫৯টি বিভাগ ও ছয়টি ইনস্টিটিউটে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চলছে। ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও কয়েকটি অনুষদ ও বিভাগ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের আগলে রাখতে গিয়ে শহিদ হন তৎকালীন প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের রিডার ড. শামসুজ্জোহা। এ ছাড়া একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশমাতৃকার টানে অস্ত্র হাতে শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধের সময় অধ্যাপক হবিবুর রহমান, অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ুম ও অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দার অপহৃত ও শহিদ হন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ শামসুজ্জোহা হলের পাশেই আবিষ্কৃত হয় উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ গণকবর। প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শহিদ শামসুজ্জোহা হল ও জুবেরী ভবনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প ছিল।

এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যালামনাইসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি এক বাণীতে বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের প্রতি, যাদের দাবিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়, আর যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠায় গড়ে উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা।’

বরগুনার আলো