• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

কিশোর কুমারের জানা-অজানা যত তথ্য

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২১  

ভারতের খ্যাতিমান গায়ক কিশোর কুমার। কোনো চর্চা ছাড়াই সুরেলা কণ্ঠের অধিকারী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ‘বিস্ময়’ শব্দটা যেন তারই সমার্থক। তার ৯২তম জন্মবার্ষিকীতে জেনে নেওয়া যাক এই কিংবদন্তির জীবনের কিছু জানা-অজানা তথ্য।

আইনজীবী কুঞ্জলাল গঙ্গোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী গৌরীদেবীর ছোট ছেলে ছিলেন কিশোর কুমার। ১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট জন্মের পর তার নাম ছিল আভাস কুমার। ব্রিটিশ ভারতের সেন্ট্রাল প্রভিন্সের (বর্তমান মধ্যপ্রদেশ)-এর খণ্ডোয়া অঞ্চলে জন্ম তার। সেখানে এক সম্পন্ন পরিবারের ব্যক্তিগত আইনজীবী হয়ে কর্মরত ছিলেন কুঞ্জলাল।


একাধারে গায়ক, অন্যধারে অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কিশোর কুমার ব্যক্তিগত জীবনে ৪ বার বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তবে শোনা গেছে, ৪ বারের দাম্পত্য জীবনের পরেও ঠিক সুখী হতে পারেননি কিশোর কুমার।

১৯৫০ সালে সত্যজিৎ রায়ের ভাইঝি রুমা গুহ ঠাকুরতার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন কিশোর কুমার। রুমা নিজে একজন অভিনেত্রী, গায়িকা হওয়া ছাড়াও, একজন সক্রিয় সমাজকর্মী হিসেবেও কাজ করেছিলেন। সেই সঙ্গে কলকাতা ইয়ুথ কয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।

১৯৫২ সালে ছেলে অমিত কুমারের জন্মের পর কিশোর কুমার চেয়েছিলেন রুমা বাড়িতেই থাকুক এবং তাদের ছেলের দেখাশোনা করুক। যদিও রুমা গুহ ঠাকুরতা তার অর্জিত স্টারডমকে ছেড়ে দিতে চাননি। সেখান থেকেই কিশোর কুমার ও রুমা গুহ ঠাকুরতার মধ্যে মত বিরোধের সূত্রপাত হয়। বিয়ের ৮ বছর পর ১৯৫৮ সালে কিশোর ও রুমার বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়।

কিশোর কুমার ও তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন রুমা গুহ ঠাকুরতার একমাত্র সন্তান অমিত কুমার। ১৯৫২ সালে জন্ম হয় অমিতের। অমিত কুমারও একজন প্রতিষ্ঠিত গায়ক।

অমিত কুমার অনেক হিন্দি সিনেমার জন্য প্লেব্যাক করেছেন এবং একাধিক বাংলা গানের অ্যালবামও বের করেছেন। আবার গান গাওয়ার পাশাপাশি অমিত কুমার অভিনয়ও করেছেন এবং আবার সঙ্গীত পরিচালনাও করেছেন। ১৯৮১ সালে 'লাভ স্টোরি' সিনেমার 'ইয়াদ আ রাহি হে' গানের জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও পান অমিত কুমার।

জানা গেছে, রুমার গুহ ঠাকুরতার সঙ্গে বিচ্ছেদের আগেই মধুবালার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কিশোর কুমার। ১৯৬০ সালে তিনি বিয়ে করেন মধুবালাকে। গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়নি। যদিও কিশোর কুমার এবং মধুবালার সেই দাম্পত্য সুখের হয়নি।

বিয়ের এক মাস পরেই গুরুতর অসুস্থ মধুবালা ফিরে যান তার নিজের বাংলোয়। চিকিৎসকরা জানান, মধুবালার হৃৎপিণ্ডে জন্মগত ছিদ্র রয়েছে, তিনি আর দুবছর বাঁচবেন। ১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান মধুবালা। মধুবালার অভিযোগ, তার সঙ্গে শেষের দিকে যোগাযোগ রাখেননি কিশোর কুমার।

যোগিতা বালী ছিলেন কিশোর কুমারের তৃতীয়া স্ত্রী। মধুবালার মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর পরে, যোগিতা বালীর প্রেমে পড়েন তিনি। যোগিতা বালী হলো শাম্মী কাপুরের প্রথমা স্ত্রী গীতা বালির ভাইঝি। ১৯৭৬ সালে যোগিতা বালীকে বিয়ে করেন কিশোর কুমার। তবে সেই বিয়ে স্থায়ী হয়েছিল মাত্র দু'বছর।

বিয়ের ঠিক পরপরই ‘খোয়াব’ ছবির শুটিংয়ে প্রথম আলাপ হয় মিঠুন-যোগিতা বালীর। মিঠুন চক্রবর্তীর প্রেমে পড়েই নাকি কিশোর কুমারের কাছ থেকে দূরে সরে আসেন যোগিতা। এর ফলে একসময় কিশোর কুমারের সঙ্গে মিঠুনের বিরোধ চরম পর্যায়ে চলে যায়। মিঠুনের জন্য গান গাইতে অস্বীকারও করেছিলেন কিশোর।

বিয়ের মাত্র ১১ মাসের মধ্যে প্রথম স্বামীকে হারান লীনা। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর কাজের সুবাদেই কিশোর কুমারের সঙ্গে আলাপ হয় দক্ষিণের অভিনেত্রী লীনা চন্দভরকরের। এরপর আস্তে আস্তে আলাপ গভীর হয়। তবে কিশোর কুমারের আগে তিনবার বিয়ে হওয়া এবং ২১ বছরের বড় হওয়ায় তার সঙ্গে বিয়েতে মত ছিল না লীনার পরিবারের।

পরিবারের সবার মতামত পাওয়ার পরেও বিয়েতে বিলম্ব হয়। কারণ, তখনও কিশোর কুমারের সঙ্গে তার তৃতীয় স্ত্রী যোগিতা বালির সঙ্গে সম্পূর্ণ বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি। যোগিতার সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের পরে ১৯৮০ সালে কিশোর কুমার বিয়ে করেন লীনাকে।

লীনাকে বিয়ে করার দু’বছর পর জন্ম হয় তাদের সন্তান সুমিত কুমারের। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর মৃত্যু হয় কিশোরের। তখন সুমিতের বয়স মাত্র ৫। জীবনের এই কঠিন পরীক্ষার সময় লীনার পাশে ছিলেন অমিত কুমার। তিনিই ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন ভাই সুমিতকে।

বরগুনার আলো