• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

মাত্র ১২ বছরেই বিশ্বরেকর্ড

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২১  

শিশু-কিশোররা সাধারণত যে বয়সে মাঠে-ঘাটে খেলাধুলা-আড্ডা-দুরন্তপনায় মেতে থাকে, সেই বয়সে চুপচাপ নিজের টেবিলে লেখায় ব্যস্ত সৌদি আরবের এক কিশোরী। রিতাজ আল হাজমি নামের এই কিশোরী মাত্র ১২ বছর বয়সেই গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম লিখিয়েছেন দুটি বেস্টসেলার উপন্যাস লিখেই। সৌদির এ মেয়েটিই এখন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী বেস্টসেলার ঔপন্যাসিক।

মাত্র ১১ বছর বয়সেই সৃজনশীল গল্প লিখে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন রিতাজ। ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে ‘ট্রেজার অব দ্য লস্ট সি’ (২০১৮) ও ‘পোর্টাল অব দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ড’ (২০১৯) নামে তাঁর দুটি উপন্যাস ও বিয়ন্ড দ্য ফিউচার ওয়ার্ল্ড (২০২০) নামে শিশু বিষয়ক একটি বই।

মূলত ছোটবেলা থেকেই গল্প-উপন্যাস পড়ে বড় হয়েছেন রিতাজ। তার বাবা তাকে বিভিন্ন ধরনের বই কিনে দিতেন, আর আগ্রহ নিয়ে সেসব পড়ে ফেলতেন রিতাজ। কিন্তু রিতাজের পছন্দ ফ্যান্টাসি গল্প। তার যে তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোও ওই ফ্যান্টাসি ঘরানারই।

মাত্র ৯ বছর বয়সেই প্রথম বই লিখে শেষ করে প্রকাশককে পাঠিয়েছিলেন রিতাজ। কিন্তু প্রকাশক তাকে আরও বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে লিখতে বলেন। পরে বাবার সহযোগিতায় রিতাজ ভর্তি হন একটি লেখালেখির কর্মশালায়। এর মধ্যে ওই বইটির কাজও শেষ করেন তিনি। প্রকাশক এবার ভীষণ খুশি, খুশি পাঠকও। রীতিমত বেস্টসেলার হলো ২০১৮ সালে বেরোনো রিতাজের প্রথম বই ‘লস্ট সি’। তার অন্য বইদুটিও জনপ্রিয়তা পেল পাঠক হৃদয়ে।

সৌদি সংবাদ মাধ্যম আশ শারক আল আওসাতকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের লেখক হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন কিশোরী রিতাজ। শৈশব থেকেই ছোটগল্প লেখার অভ্যাস ছিল তাঁর। ছোটবেলাতেই লিখনীতে সুপ্ত প্রতিভার পরিচয় খুঁজে পান তার বাবা। বাবা ও পরিবারের সবার উৎসাহ ও আগ্রহে এক সময় উপন্যাস লেখায় হাত দেন রিতাজ। তবে উপন্যাস লিখতে গিয়ে নানামুখী কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় তাকে।

প্রথম উপন্যাসটি লিখতে গিয়ে পুরো একটি বছর অতিবাহিত হয় রিতাজের। লেখার কাজে পরিবারের সার্বক্ষণিক সমর্থন ও সহায়তা প্রেরণা যুগিয়েছে এগিয়ে যেতে। আর তাই লেখা বিষয়ক বিভিন্ন ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন উপন্যাস ক্রয় করে পড়তে সহায়তা করে পরিবার।

নিজের উপন্যাস ‘লস্ট সি’ বইয়ের কথা উল্লেখ করে রিতাজ বলেন, ‘এক দ্বীপে অভাবগ্রস্ত এক পরিবারে দুই ভাই বসবাস করত। তাদের জীবন ছিল দুঃখ-কষ্ট ও নানা রকম চ্যালেঞ্জে ভরপুর। হঠাৎ এক সময় তারা নতুন পৃথিবীর সন্ধান লাভ করে। নতুন জগতে রোমাঞ্চকর জীবন শুরু করে সেখানের বীর বনে যায় তারা।’

লেখালেখির শুরুর দিকেই নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করেন রিতাজ। আরবের এই কিশোরী বলেন, আমার বয়সী শিশুদের সীমিত সুযোগ-সুবিধাই আমাকে এ বিষয়ে লিখতে উৎসাহ যোগায়। এই শূন্যতা পূরণে আমি লেখার চেষ্টা করছি। তাছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানের নতুন নতুন জগত সৃষ্টি করাও আমার উদ্দেশ্য। নিজের লেখায় জেকে রোলিং-এর অনেক প্রভাব অনুভব করেন রিতাজ। রোলিং ছাড়াও জেসিকা ব্রডির ওয়ার্কশপ তার লেখার গুণগত মান বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

গিনেস রেকর্ড বুকে নাম লেখানো এই কম বয়সী লেখক বলেন, এ বিষয়টি নিয়মিত লিখতে আমাকে উৎসাহিত করবে। সর্বকনিষ্ঠ উপন্যাস লেখকের তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় বিশ্বের অন্যান্য রেকর্ড ও কৃতিত্ব অর্জনেও আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। তাছাড়া সমবয়সী শিশুদের কাছে আমি আদর্শ হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। যেন তারা উপলব্ধি করতে পারে যে, তাদের অনেক কিছু করার সামর্থ্য আছে। সূত্র: আশ শারাক আল আওসাত। 

বরগুনার আলো