ফুসফুসের যেসব সংকেত বলে দেবে বিপদ বাড়ছে

বয়স বাড়লে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে বাসা বাঁধে নানান কঠিন অসুখ। বুকে হালকা ব্যথা। কিংবা মাঝেমধ্যেই ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া। এসব খুবই সাধারণ সমস্যা। তবে ফুসফুসের ক্যান্সার কিংবা গুরুতর ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণও হতে পারে। যদিও অনেকেই মনে করেন এই কঠিন সমস্যা কেবল বয়স্কদেরই হয়। কিন্তু এই ধারনাটি একদমই ভুল।

অসুখের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। যেকোনো বয়সেই যেকোনো কঠিন রোগ দেহে বাসা বাঁধতে পারে। ফলে সতর্ক হতে হবে যেকোনো সংকেত পেলেই। সতর্ক হতে হবে সামান্য সমস্যা দেখা দিলেও, যা অনেকেই অবহেলা করে থাকেন। ধূমপানের অভ্যাস না থাকলেও বুকে ব্যথা হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সব বয়সের নারী-পুরুষের প্রতিই এমন বার্তা দিয়েছে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি।

কোন কোন সংকেত পেলে বেশি সাবধান হতে হবে চলুন জেনে নেয়া যাক- 

>> কথায় কথায় সর্দি-কাশি হচ্ছে? এমন কিন্তু স্বাভাবিক নয়। যদি কিছু দিন অন্তর ঠাণ্ডা লেগে থাকে, তবে বুঝতে হবে শরীরের ভেতরে কোনো সমস্যা আছে। অনেকের আবার কাশি হলে কমতেই চায় না। এমন প্রবণতা দেখলে সাবধান হওয়া জরুরি।

>> ঘুম থেকে উঠলেও কাঁধ-পিঠে ব্যথা হয়? তাহলে বুঝতে হবে, এ সাধারণ ক্লান্তি নয়। অনেক সময়েই শরীরের এক অংশে সমস্যা হলে, অন্য কোনো অঙ্গে অসুবিধা দেখা দেয়। এই ধরনের ব্যথাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ‘রেফার্ড পেন’।

>> শ্বাস নিতে গেলেই মনে হচ্ছে খুব খাটনি? এমনও অনেক সময়ে হয়। এই সমস্যাও অবহেলা করার মতো নয়। বুঝতে হবে ফুসফুস জানান দিচ্ছে, ভেতরে কোনো সমস্যা আছে। ফুসফুসের আশপাশে প্রদাহ সৃষ্টি হলে এমন অনেক সময়েই হতে পারে।

>> সবসময় ক্লান্ত লাগলে যেমন উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমন অন্য অসুখও হতে পারে। ফুসফুস ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢোকে না। তা থেকেই ক্লান্তি আসতে পারে।

>> গলার আওয়াজ অন্য রকম লাগছে কি? সর্দি-কাশি হলে এমন সমস্যা ঘটেই থাকে। কিন্তু দিনের পর দিন যদি এমনই চলে, তবে সমস্যা গুরুতরও হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।

>> বুকে কফ জমার প্রবণতা বেড়ে গিয়ে থাকলেও চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। অল্প সর্দি-কাশি হওয়া এক রকম। কিন্তু একবার বুকে কফ জমলে যদি তা আর না যেতে চায়, তবেও ফুসফুসের হাল নিয়ে কিছুটা সতর্ক হওয়া দরকার।