• বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১২ ১৪৩০

  • || ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন কাল পর্যটন শিল্পের প্রসারে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের জনসভায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়ার ভেতর দিয়েই শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটে: প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণের ৪৯তম বার্ষিকী আজ তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগে জনগণকে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ চুরি করা অর্থ দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে: প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জন্য সমুদ্রগুলো যেন সমৃদ্ধির উৎস হয়ে থাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে বাংলাদেশ পুতুলের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে: প্রধানমন্ত্রী কোরআন পোড়ানো নিয়ে শেখ হাসিনার নিন্দা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে: প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ছাড়া দেশকে কিছুই দিতে পারেনি বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ভিয়েতনাম

শিশুর হাম কেন হয়? লক্ষণ কী?

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২৩  

হাম একধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। প্যারামিক্সো ভাইরাসের কারণে রোগটি হয়। সাধারণত পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চাদের এ রোগ হয়। তাছাড়া যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম, গর্ভবতী নারীদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

হাম একটি ছোঁয়াছে রোগ। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। তাই ঘরে কারো হাম হলে তাকে অবশ্যই আলাদা রাখতে হবে। হামের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

এ কারণে হাম হলে পরবর্তী সময়ে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অপুষ্টি, চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, অন্ধ হওয়ার ঝুঁকি, বিভিন্ন ধরনের মস্তিষ্কের সমস্যা এমনকি জ্বরসহ খিঁচুনিও হতে পারে।

হামের উপসর্গগুলো কী কী?

হাম সাধারণত ৩টি পর্যায়ে হয়- প্রোডর্মাল পর্যায়, এক্সান্থন পর্যায় ও কম্বালসন পর্যায়। প্রোডর্মাল ফেইজে বাচ্চার জ্বর থাকে, এই জ্বর কারো ক্ষেত্রে মৃদু, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাই ফিভার হয়।

১০২-১০৩ এর কাছাকাছি জ্বর থাকে, বাচ্চার কাশি থাকে ও চোখ দিয়ে, নাক দিয়ে পানি, হাঁচি কাশি বাচ্চার থাকবে। এসব সমস্যা ২-৩ বা ৩-৪ দিন সময় থাকে। অনেক ক্ষেত্রে কারো ৬-৭ দিনও থাকতে পারে ও একসঙ্গে শিশুর ক্ষুধামন্দা ও খাওয়ার অরুচি থাকতে পারে।

এরপর শুরু হয় এক্সান্থন পর্যায়। এই সময় র্যাশ দেখা দেয়। লাল বর্ণের বিচির মত র্যাশ হয়, যাকে ম্যাকুইলিপ্রপেল বলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন হয় যে একদম চামড়ার সঙ্গে মিশে যায় বা লাল লাল দানার মতো হয়। মুখ থেকে শুরু করে শরীরের উপরের অংশ, নিচের অংশ ও হাত-পায়ে তা ছড়িয়ে যায়।

কখনো কখনো রক্তক্ষরণ হয় এমন এক ধরনের র্যাশ হতে পারে যা খুবই বিরল। যখন শিশুর র্যাশ সম্পূর্ণরূপে উঠে যাবে, এর ৪৮ ঘণ্টা পর বাচ্চার জ্বর কমে যায়। এই র্যাশগুলো আস্তে আস্তে ফেডিস হয়ে চামড়া থেকে চলে যাবে। এরকম ৬-৭ দিনের কাছাকাছি থাকে।

এরপর কম্বালসন পর্যায়। এক্ষেত্রে শিশুরা আস্তে আস্তে ভালো হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে হামের পর কাশি হয়। এই কাশি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থাকতে পারে। এগুলোই সাধারণত হামের লক্ষণ।

হাম কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

যে কোনো বিষয় প্রতিরোধের মূল হচ্ছে টিকা। হামের জন্য দেশে অনেকগুলো টিকা প্রকল্প আছে। হামের জন্য মোট ৩টি টিকা আছে। এমআর ভ্যাকসিন, আর ভ্যাকসিন ইত্যাদি। এমআর ভ্যাকসিন বাচ্চাদের ৯ মাস বয়সে, আরেকটি দেওয়া হয় ১৫ মাস বয়সে।

 

বরগুনার আলো