• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনকে বিএনপি-জামায়াত সহিংস করেছে: জয় নাশকতার ঘটনায় অপরাধীদের ছাড় না দেয়ার দাবি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের ধারণা ছিল একটা আঘাত আসবে: প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আদালতে ন্যায়বিচারই পাবে: প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী পবিত্র আশুরা মুসলিম উম্মার জন্য তাৎপর্যময় ও শোকের দিন আশুরার মর্মবাণী ধারণ করে সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান মুসলিম সম্প্রদায়ের উচিত গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী দুঃখ লাগছে, রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও বলে তারা রাজাকার শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ ‘চীন কিছু দেয়নি, ভারতের সঙ্গে গোলামি চুক্তি’ বলা মানসিক অসুস্থতা দেশের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী : প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার ফুটবলের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার

হাইপার ইউরিসেমিয়া বিপদ, সুস্থ থাকতে যা করতে হবে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৩  

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে স্বাভাবিকের থেকে বেশি হলে তাকে বলা হয় হাইপার ইউরিসেমিয়া। যা বেড়ে গেলে সন্ধিতে প্রদাহ এবং ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেউ কেউ একে বলে থাকে গেঁটেবাত।

সাধারণত বয়স্ক ও কিডনি রোগীদের ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির প্রবাণতা বেশি দেখা দেয়। তবে বর্তমান সময়ে কম বয়সীদের মধ্যে এর হার দেখা যাচ্ছে। এর মূল কারণ স্থূলতা ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। একজন পুরুষের ৩ দশমিক ৪ থেকে ৭ মিলিগ্রাম/ডিএল এবং নারীর জন্য ২ দশমিক ৪ থেকে ৫ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম/ডিএল হচ্ছে স্বাভাবিক ইউরিক অ্যাসিড।

হাইপার ইউরিসেমিয়া নিয়ে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন। এবার তাহলে তার ভাষ্যমতে হাইপার ইউরিসেমিয়ার উপাদান ইউরিক অ্যাসিড সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক—

যেসব কারণে বাড়ার সম্ভাবনা থাকে

পিউরিনসমৃদ্ধ ও আমিষজাতীয় খাবার খুব বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে। কেননা, কিডনি ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে যথেষ্ট পরিমাণ নিষ্কাশন করতে না পারলে তখন এর মাত্রা বেড়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড বিপাকের এনজাইমে যদি ঘাটতি থাকে, ওজন বেশি হলে এবং খাদ্যাভ্যাস অনিয়ন্ত্রিত হলেও এর হার বেশি হয়। আবার ধূমপান বা নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ এবং অনেক সময় বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে যেসব ক্ষতি হয়

ইউরিক অ্যাসিড যদি বেড়ে যায় তাহলে হার্ট সংক্রান্ত অসুখ ও কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পায়ের সন্ধিগুলো লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে। অনেক সময় পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হয়, সকালে ঘুম থেকে উঠার পর হাঁটতে গেলে কাঁটা ফোটার মতো মনে হতে পারে।

যেসব খাবারে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে

মাছের ডিম, সামুদ্রিক মাছ, খাসি-গরুর মাংস, হাঁস বা ভেড়ার মাংস, মাংসের স্যুপ, কলিজা, মগজ, ফুসফুস, মাশরুম, হাঁস-মুরগির চামড়া, কাঁকড়া, সামুদ্রিক শুঁটকি ও ইলিশ মাছ খেলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। আবার মাষকালাই, মসুর ও বুটের ডাল, বাদাম, শিম ও কাঁঠালের বিচি, মটরশুঁটি, পুঁইশাক, পালংশাক, সরিষার শাক, পাটশাক, কচুর লতি ইত্যাদি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে থাকে। এছাড়া ক্রুসিফেরি গোত্রের উদ্ভিত-মুলা, ওলকপি, ব্রকলি, টমেটো, ফুলকপি, শজনে, বেগুন এবং অতিরিক্ত লবণযুক্ত কিংবা প্যাকেটজাত খাবার, চর্বিযুক্ত তেলে ভাজা খাবার খেলেও বেড়ে যায় ইউরিক অ্যাসিড।

যেসব খাবার খেতে হবে

প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মিঠা পানির মাছ, চামড়া ছাড়া মুরগির মাংস, ডিম, টক দই, মুগডাল ও দুধ পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। নিয়মিত চালকুমড়া, কুমড়া শাক, সবুজ শাক. লাউশাক, ডাঁটাশাক, লালশাক, পেঁপে, কাঁকরোল, পটোল, করলা, লাউ ইত্যাদি খেতে হবে। এছাড়া মৌসুমি ফলমূলও পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে।

ইউরিক অ্যাসিড হলে করণীয়

অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড হলে নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সন্ধি ফুলে লাল হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া দরকার। ইউরিক অ্যাসিড নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে বেশি হলে, কিডনি রোগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস করতে হবে।

বরগুনার আলো