করোনা বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল চীন
টানা কয়েকদিনের মতো করোনা বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভে বেসামাল চীন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জিরো কোভিড নীতির বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। সপ্তাহজুড়ে দেশটির বাণিজ্যিক হাব সাংহাইসহ বিভিন্ন শহরে চলছে বিক্ষোভ। রাস্তায় নেমে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন করোনা বিধিনিষেধ বিরোধীরা। রাজধানী বেইজিং, সাংহাই, উহান, চেংদু ও উরুমকিতে বিক্ষোভ হচ্ছে কয়েকদিন ধরে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এতো বড় বিক্ষোভ হতে দেখা যায়নি দেশটিতে, বলছেন চীনা বিশ্লেষকরা।
করোনা মহামারি ৩ বছরের কাছাকাছি হলেও এখনও চীনে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ গত কয়েকদিনে কয়েক দফা বেড়ে গেছে দেশটিতে। তা সত্ত্বেও দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াং প্রদেশের একটি আবাসিক ভবনে বৃহস্পতিবার আগুন লেগে ১০ জন নিহত হওয়ার জেরে বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা জানান, ওই ভবনের বাসিন্দারা আগুন লাগার সময় দ্রুত বের হতে পারেননি কারণ একটা অংশ লকডাউনের আওতায় ছিল। যদিও নগর কর্মকর্তারা বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন। এ ঘটনার জেরে রোববার (২৭ নভেম্বর) দেশটির বাণিজ্যিক হাব সাংহাইয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাংহাইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকজনকে আটক করার খবরও পাওয়া গেছে। ১৯৮৯ সালে তিয়ানানমেন স্কোয়ারের বিক্ষোভের পর থেকে এতো বেশি চীনা নাগরিক একটি একক ইস্যুতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে গ্রেফতারের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও।
এশিয়া সোসাইটির একজন চীনা বিশেষজ্ঞ বেতস গিল বলেন, ‘শি জিনপিংয়ের ১০ বছরের ক্ষমতায় থাকার সময়কালে, এটি সরকারি নীতির বিরুদ্ধে নাগরিকদের সবচেয়ে বড় ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনা।’
জিরো কোভিড পলিসির বিরুদ্ধে জনসাধারণের অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, অনলাইন, অফলাইনসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ২০১৯ সালে হংকং ইস্যুতে করা নিরাপত্তা আইন নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে শি জিনপিংয়ের সরকার। এরপর এবারই অভ্যন্তরীণভাবে এমন বিক্ষোভের মুখোমুখি হচ্ছে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার।
শি জিনপিং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের’ নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যক্তিগত দায় স্বীকার করেছিলেন। গত অক্টোবরে কমিনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেসে তিনি বলেছিলেন, ‘সবার আগে মানুষের জীবন বাঁচা প্রয়োজন।’ ‘সঠিক’ কোভিড নীতিকে তিনি তার রাজনৈতিক অর্জনের মধ্যেও বিবেচনা করেছিলেন।
চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, আবার হু-হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা। বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর অভিযোগের তীর ছোড়া হয় চীনের দিকেই। এখনও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আছে। আর সেই কারণেই এবার চীন সরকার একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করছে। আড়াই বছর আগে তৈরি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাইছে না শি জিনপিংয়ের সরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘যদিও এভাবে বিক্ষোভে জনসাধারণের ফুঁসে ওঠা শি জিনপিংয়ের জন্য বিব্রতকর। তবে এতে খুব একটা পরিবর্তন ঘটবে না। কেননা দল, সামরিক, নিরাপত্তা এবং প্রচারযন্ত্র সম্পূর্ণ তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
তবে শি জিনপিং জিরো কোভিড নীতি থেকে সরে আসবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। চীনের মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ও বুদ্ধিজীবী তেং বিয়াও বলেন, ‘যদি তিনি সেখান থেকে সরে আসেন, তাহলে এর অর্থ হবে তার অতীতের শূন্য-কোভিড নীতি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাকে এর দায় নিতে হবে। এটি তার ইমেজের ক্ষতি করবে।’
তবে শি জিনপিংয়ের নীতিতে তেমনটি নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যদিও প্রস্তুত হওয়ার আগে যদি তিনি তার কোভিড নীতিতে পরিবর্তন আনতেন, তবে বহু মানুষের মৃত্যু, আক্রান্ত হওয়া এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে যেতে পারতো।
দেশব্যাপী প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে মানসম্মত করার ও বাসিন্দাদের এবং অর্থনীতির জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ অগ্রগতি প্রয়াসে শি জিনপিং সরকার গত মাসে ২০টি পদক্ষেপ নেয় এবং শূন্য-কোভিড নীতিতে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে শি আনুষ্ঠানিকভাবে সমস্ত প্রাদুর্ভাব রোধ করার প্রয়োজনীয়তা প্রত্যাখ্যান করেননি। সেকারণে অনেক স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখনও সতর্কতার অবলম্বন করতে গিয়ে কঠোর লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইনের মতো নিয়মগুলো বাস্তবায়ন করছে। এতেই ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ ফেলো উইলি ল্যাম বলেন, ‘এই পর্যায়ে তারা অবগত নয় বলে মনে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘একদিকে, শি জিনপিং এবং তার দলকে শক্তিশালী বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু একই সময়ে, আমরা নতুন প্রশাসনের কাছ থেকে সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি দেখতে পাচ্ছি।’
বরগুনার আলো- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা দিলেন নান্নু
- সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা: দুইজনের যাবজ্জীবন, তিনজন খালাস
- আবাসিক হোটেলে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ২৫
- মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, উন্নত ও আধুনিক বরিশাল গড়ার আহ্বান
- ভুয়া ডিজিএফআই সদস্য ইমাম হাসান আটক
- বরিশালে যৌথ অভিযানে ৪৩ মণ জাটকা জব্দ, আটক ৪
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গবেষণায় গুরুত্বারোপ ইউজিসির
- আমতলীতে আবারো মেয়র হলেন মতিয়ার রহমান
- পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান
- বাড়ির উঠানে গাঁজা চাষ, অবশেষে ধরা মধু ফকির
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
- জাতিসংঘের রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চায় সরকার
- বেইলি রোডে অগ্নিকান্ড কবলিত ভবনে ফায়ার এক্সিট না থাকায় হতাশ
- পাহাড়ের বুকে সড়ক, যোগাযোগের নতুন মাইলফলক
- দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্বের পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ হয়েছে পুলিশ
- শরীয়তপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
- নতুন নতুন অপরাধ দমনে পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
- ছাব্বিশে পাতাল রেল যুগে বাংলাদেশ