• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দার টবে করলা চাষ পদ্ধতি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২১  

গ্রীষ্মকালিন সবজিগুলোর মধ্যে করলা অন্যতম। বাজারে এই সময় সহজ ও সস্তায় করলা পাওয়া যায়। করলা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। তাইতো অনেকেরই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় স্থান পায় উপকারী এই সবজিটি।

তবে করলা যে কেবল জমিতেই চাষ করা যায় তা কিন্তু নয়। আপনি চাইলে বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দার টবে করলা চাষ করতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কীভাবে টবে করলা চাষ করবেন-   

জাত

বারি করলা: জাতটি গাড় সবুজ রঙের হয়ে থাকে, এটিতে গাছ প্রতি প্রায় ১০০ গ্রাম ওজনের ২৫ থেকে ৩০টি ফল ধরে। এটি লাগানোর ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়।

গজ করলা: জাতটি সবুজ রঙের হয়ে থাকে, এটিতে গাছ প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের ১৫ থেকে ২০টি ফল ধরে থাকে।

বীজ লাগানোর সময়

ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত করলা বীজ লাগানোর সেরা সময়। গরমে করলা গাছ দ্রুত বাড়ে, শীতে তেমন বাড়ে না। তাই আগাম ফলের আশায় জানুয়ারিতে লাগালে তেমন ফলপ্রসু হবে না।

টব ও মাটি তৈরী

করলা চাষের জন্য বড় বা মাঝারি আকারের টব নিলে ভালো হয়, এজন্য আপনি ৫০ লিটার ড্রামের অর্ধেক নিতে পারেন। অবশ্যই ড্রামের নিচে ছিদ্র করে দিবেন। আমি এখানে হাফ ড্রাম টবের জন্য মাটি প্রস্তুতি বলব।

করলা প্রায় সব মাটিতে হয় তবে দোঁয়াশ মাটিতে করলা সবচেয়ে ভালো হয়। তাই করলা চাষের জন্য ২ ভাগ দোঁয়াশ মাটি, ১ ভাগ গোবর সার, ২৫ গ্রাম টিএসপি ও ২৫ গ্রাম পটাশ সার একসঙ্গে মিশিয়ে ড্রামে ভরে পানি দিয়ে দিন। ১০ থেকে ১২ দিন পর মাটি কিছুটা খুচিয়ে ৪ থেকে ৫ দিন পরে বীজ বা চারা লাগিয়ে দিবেন।

বীজ রোপন

বীজ রোপনের ২৪ ঘন্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ রোপনের সময় টবের মাটি ঝুরঝুরে কারে নিন। তারপর বীজগুলো ১ ইঞ্চি গভীরে বপন করে পানি দিয়ে দিন। হাফ ড্রাম টবে আপনি ৫ থেকে ৬টি বীজ লাগাতে পারেন।

পরিচর্যা

করলা গাছ একটু বড় হয়ে আসলে ভালোভাবে মাচার ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করে টবের মাটি কিছুটা আলগা করে দিতে হবে। চারার বয়স ১ মাস হলে ২০ গ্রাম টিএসটি দিন। যখন করলা ধরা শুরু করবে তখন ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর সরিষার খৈল পঁচা পানি দিতে হবে।

রোগবালাই ও প্রতিকার

করলা গাছে বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে যেমন- মাছি পোকা, পামকিন বিটল, পাউডারী মিলডিউ ও ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। এসব রোগাবালাই থেকে বাঁচতে বাগান সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মাছি পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে বাগানে ফোরোমন ফাঁদ ব্যবহার করুন। আর অন্যান্য রোগের জন্য নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করুন।

বরগুনার আলো