• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

৪ শ্রেণির মানুষ আমল না করেও পাবেন সওয়াব ও গোনাহ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২১  

 রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিসে পাকে এমন ৪ শ্রেণির মানুষের আমল ও নিয়তের বর্ণনা তুলে ধরেছেন; যা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য অনেক বড় শিক্ষাণীয় বিষয়। হাদিসে পাকে ৪ শ্রেণির মানুষের বর্ণনা পাওয়া যায়। যাদের ২ শ্রেণির লোক সাওয়াবের ভাগিদার। আর ২ শ্রেণির লোক গোনাহগার।  এদের মাঝে আবার কেউ কাজ করার কারণে সাওয়াব পেয়েছে এবং গোনাহগার হয়েছে। আবার কেউ আমল না করেই নিয়তের কারণে সাওয়াব পেয়েছে এবং গোনাহগার হয়েছে। হাদিসের বর্ণনায় তারা কারা? তাদের আমল ও নিয়তিই বা কেমন ছিল? হজরত আবু কাবশা আনমারী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলে কারিম (সা.) বলেছেন, ‘দুনিয়ায় ৪ ধরনের মানুষ আাছে। তারা হলো- প্রথম প্রকার মানুষ : নেক আমলকরী আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে সম্পদ ও ইলম দান করেছেন। সে সম্পদের বিষয়ে তারা আপন রবকে ভয় করে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে এবং তার সম্পদে আল্লাহর হক সম্পর্কে সে সচেতন। সে হল সর্বশ্রেষ্ঠ স্তরের মানুষ। দ্বিতীয় প্রকার মানুষ : নেক আমলের নিয়তকারী আল্লাহ তায়ালা যাকে ইলম দিয়েছেন, সম্পদ দেননি; কিন্তু তার নিয়ত সহিহ বা বিশুদ্ধ। সে নিয়ত করে, আমার যদি তার (প্রথম ব্যক্তির) মতো সম্পদ থাকত তাহলে আমিও তার মতো নেক আমল করতাম। সে নেক নিয়তের কারণেই সওয়াব পাবে। সুতরাং উভয়ের সওয়াব সমান। তৃতীয় প্রকার মানুষ : গোনাহকারী আল্লাহ তায়ালা যাকে সম্পদ দিয়েছেন কিন্তু ইলম দেননি। অজ্ঞতার কারণে সে সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে। সম্পদের বিষয়ে আপন রবকে ভয় করে না, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে না এবং তার সম্পদে আল্লাহর হক সম্পর্কে সে সচেতন না। সে হল সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্তরের মানুষ। চতুর্থ প্রকার মানুষ : গোনাহের নিয়তকারী আল্লাহ যাকে ইলমও দেননি, সম্পদও দেননি; (কিন্তু তার নিয়ত খারাপ)। সে সংকল্প করে, আমার যদি মাল থাকত আমিও তার (তৃতীয় ব্যক্তির) মত কাজ করতাম। সে বদ প্রতিজ্ঞার কারণেই গোনাহগার হবে। তাই উভয়ের গোনাহ সমান।’ (তিরমিজি, মুসনাদে আহামদ) উল্লেখিত হাদিসটি উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য অনেক বড় শিক্ষা। আমল-ইবাদত, দান-সাদকা কিংবা যে কোনো ভালো কাজ; পরিমাণে কম হোক যদি নিয়ত বিশুদ্ধ হয় তবে তা সাওয়াব বা মুক্তির জন্য যথেষ্ট। কেননা বিশুদ্ধ নিয়তের কারণেই মানুষ আমল-ইবাদতকারীর সমান সাওয়াব পায়। পাশাপাশি নিয়তের পরিশুদ্ধি না থাকলে ওই ব্যক্তিকে গোনাহগার হতে হয়। সুতরাং এ হাদিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হল, সাধ্য না থাকা সত্ত্বেও সহিহ নিয়তের কারণে আল্লাহ সক্ষম ব্যক্তির আমলের মতই যেমন সাওয়াব দান করেন। তেমনি নিয়তের কারণেই গোনাহগার ব্যক্তির মতোই অন্য ব্যক্তিকে গোনাহগার হিসেবে সাব্যস্ত করে। তাই মুমিন বান্দার একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- সব সময় ইখলাসের সঙ্গে সাওয়াবের নিয়তে যে কোনো ভালো কাজ করা এবং ভালো কাজের ইচ্ছা পোষণ করা। খারাপ ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা। গুরুত্বপূর্ণ এ হাদিসের আমলেই দুনিয়া ও পরকালে সহজেই নাজাত বা মুক্তি সম্ভব।  আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। সাওয়াবের কাজ করতে না পারলেও ভালো কাজের ইচ্ছা পোষণ করার তাওফিক দান করুন। মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

বরগুনার আলো