• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

পরকালে কি যে কেউ সুপারিশ করতে পারবে?

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২১  

‘কে সেই ব্যক্তি? যে তাঁর (আল্লাহর) অনুমতি ব্যতিত তাঁর সমীপে কারো জন্য সুপারিশ করতে পারে!’ এটি কোরআনুল কারিমের আয়াতুল কুরসির একটি আয়াতাংশ। ঘোষণা দ্বারা আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার মানুষকে এ মর্মে তাঁর একচ্ছত্র আধিপত্যের চ্যালেঞ্জ ছূড়ে দিয়েছেন যে-
مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ عِنۡدَهٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِهٖ
‘কে সেই ব্যক্তি; যে তাঁর (আল্লাহর) অনুমতি ব্যতিত তাঁর সমীপে কারো জন্য সুপারিশ করতে পারে?’

আয়াতের আগের অংশে আল্লাহ তাআলা নিজেকে আসমান-জমিনের একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। পরবর্তী অংশে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন; এমন কোনো ব্যক্তি নেই, যে তাঁর অনুমতি ব্যক্তি কারো ব্যাপারো কোনো ধরণের সুপারিশ করতে পারে।

আলোচ্য আয়াতাংশটিও আয়াতুল কুরসির পঞ্চম বক্তব্য। এ বক্তব্যে আল্লাহ দুনিয়ার আগের এবং পরের সবার ব্যাপারেই এ কঠিন ঘোষণা দিয়েছেন যে, আল্লাহর অনুমতি ব্যতিত কেউ কারো ব্যাপারে তাঁর কাছে সুপারিশ করতে পারবে না।

আল্লাহ তাআলা যেহেতু সমগ্র সৃষ্টির স্রষ্ঠা। আর কোনো সৃষ্টিই তার চেয়ে বড় নয়। তাই কোনো ব্যক্তিই তার কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন বা খবরদারী করার অধিকার রাখে না।

হজরত ঈসা আলাইসি সালাম কর্তৃক সুপারিশ পাবে বলে খ্রিস্টানদের একটি প্রবল বিশ্বাস আছে। আবার বর্তমান সময়ে কিছু মানুষ এ আকিদা পোষণ করে যে, পীর বাবা, দয়াল বাবা, খাজা বাবা বা আধ্যাত্মিক গুরুই পরকালে তার অনুসারীকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে। এ আয়াতাংশে সে বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করা হয়েছে।

তবে এ কথা সুস্পষ্ট যে-
>> আল্লাহ তাআলা এ ব্যাপারে অবকাশ রেখেছেন যে, তাঁর প্রিয় হাবিব বিশ্বমানবতার মুক্তির কাণ্ডারী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সুপারিশের অনুমতি দান করবেন এবং প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশ কবুলও করবেন। হাশরের ময়দানে সবচেয়ে বড় শাফায়াতকারী হবে প্রিয়নবি নিজেই। (তাফসিরে জালালাইন) তাছাড়া হাদিসে পাকে প্রিয়নবি কর্তৃক তাঁর উম্মতের জন্য সুপারিশের অনেক ঘোষণাও রয়েছে।

>> “তবে আল্লাহ তাআলার কিছু খাস বান্দা রয়েছে, যারা তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে তা করতে পারবেন। অন্যথায় নয়। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হাশরের ময়দানে সর্ব প্রথম আমি সমস্ত উম্মতের জন্য সুপারিশ করবো। একে ‘মাকামে মাহমুদ’ বলা হয়। যা প্রিয়নবির জন্য খাস; অন্যের জন্য নয়।” (তাফসিরে মারেফুল কুরআন)

আল্লাহ তাআলার শান ও মানের ওপর অগাধ আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জনকারী ব্যক্তিই দুনিয়া ও পরকালে আয়াতুল কুরসির ফজিলত ও মর্যাদা লাভ করবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আয়াতুল কুরসিতে ঘোষিত গুণগুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে শিরকমুক্ত ঈমান লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

বরগুনার আলো