• বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২৪ ১৪৩০

  • || ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৪

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতার ইতিহাসে ৬ দফা অন্যতম মাইলফলক: রাষ্ট্রপতি ৬ দফার প্রতি জনসমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ সাধ্যমতো চেষ্টা করছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ: শেখ হাসিনা সবাইকে ৩টি করে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর আ.লীগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: শেখ হাসিনা একদিকে মুদ্রাস্ফীতি, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে ভুগছে দেশের মানুষ: প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত: প্রধানমন্ত্রী ‘প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে, এরকম পরিস্থিতি আর হয়েছিল কিনা জানি না’ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি বিশ্বের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪ দিন বন্ধ ঘোষণা সরকার এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে: শেখ হাসিনা দেশজুড়ে উন্নত রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী চা শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশের প্রত্যাশা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে দেশে চা উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে

ফেতরা দিন সঠিক নিয়মে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২২  

বর্তমানে অনেকে সদকাতুল ফিতর বা ফেতরা দিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য ফতোয়া বিভাগ নির্ধারিত মূল্য অনুসরণ করে৷ এ ক্ষেত্রে সবাই সর্বনিম্ন গমের মূল্য অনুযায়ী ফেতরা দেয়৷ ফেতরার ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়ার মূলনীতি হলো, যত বেশি এবং মূল্যবান বস্তু দিয়ে আদায় করা যায়, তত বেশি নেকি৷ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বললেন, ‘দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি, তা দান করা উচিত।’ (বোখারি : ৩/১৮৮)।

পাঁচ ধরনের খাদ্যদ্রব্য দ্বারা ফেতরা দেওয়া যায়—খেজুর, পনির, যব, কিশমিশ এবং গম৷ গম ছাড়া বাকি চারটি দ্রব্য দ্বারা তিন কেজি তিনশত গ্রাম এবং গম দ্বারা আদায় করলে দেড় কেজির চেয়ে একটু বেশি দিতে হয়৷

এবার যদি কেউ খেজুর দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করতে চায়, তাহলে আজওয়া (উন্নতমানের) খেজুরের মূল্য প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা হলে একজনের ফেতরা হয় ৩ হাজার ২ শত ৫৬ টাকা। মধ্যম ধরনের খেজুর প্রতি কেজি ৩শ’ টাকা হলে একজনের ফেতরা হয় ৯শ’ ৭৭ টাকা। কিশমিশ প্রতি কেজি ২শ’ ৩০ টাকা হলে একজনের ফেতরা হয় ৭শ’ ৪৮ টাকা। পনির প্রতি কেজি ৫শ টাকা হলে একজনের ফেতরা হয় ১ হাজার ৬শ’ ২৮ টাকা। গম প্রতি কেজি ৪৫ টাকা হলে একজনের ফেতরার পরিমাণ হয় ৭০ টাকার মতো৷

সামর্থ্যানুযায়ী ফেতরা আদায় করা কর্তব্য৷ কিন্তু সমাজে যাদের খেজুরের মূল্য দিয়ে ফেতরা আদায়ের‌ সামর্থ্য আছে, দেখা যায়, তারা সর্বনিম্ন গমের মূল্য দিয়ে আদায় করে৷ তেমনিভাবে যাদের কিশমিশের মূল্য দিয়ে আদায়ের সামর্থ্য আছে, তারাও গমের মূল্য দিয়ে আদায় করে৷ এ ক্ষেত্রে হওয়া উচিত ছিল এমন, যে ব্যক্তি উন্নতমানের আজওয়া খেজুরের হিসেবে ফেতরা আদায়ের সামর্থ্য রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে। যার সাধ্য পনিরের হিসেবে দেওয়ার, সে তা-ই দেবে। এর চেয়ে কম আয়ের লোকেরা খেজুর বা কিশমিশের হিসাব গ্রহণ করতে পারে। আর যার জন্য এগুলোর হিসেবে দেওয়া কঠিন, সে গম দ্বারা আদায় করবে। এটিই উত্তম নিয়ম।

সাহাবায়ে কেরাম আধা সা গম দিয়ে ফেতরা আদায় করেছেন। এর কারণ হলো, তখন আধা সা গমের মূল্য এক সা খেজুরের সমান ছিল৷ মুআবিয়া (রা.)-এর যুগে গমের ফলন বৃদ্ধি পেলে আধা সা গমকে ফেতরার অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের এক সা’র মতো গণ্য করা হতো। (আল ইসতিজকার : ৯/৩৫৫)। তাই শুধু গমের মূল্য দিয়ে ফেতরা না দিয়ে সামর্থ্যানুযায়ী খেজুর, পনির এবং কিশমিশের মূল্য দিয়েও সদকাতুল ফিতর আদায় করার চেষ্টা করি৷

বরগুনার আলো