• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যাদের জন্য জান্নাত প্রস্তুত

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩  

আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে তিন শ্রেণির মানুষের জন্য জান্নাত প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সুস্পষ্টভাবে তাদের পরিচয় তুলে ধরেছেন। তাদের পরিচয় কী?

আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে জান্নাতি মানুষের কথা এভাবে ঘোষণা দেন-

الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ فِی السَّرَّآءِ وَ الضَّرَّآءِ وَ الۡکٰظِمِیۡنَ الۡغَیۡظَ وَ الۡعَافِیۡنَ عَنِ النَّاسِ

‘যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে।’ (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৩৪)

১. যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় দান করে

মুত্তাকি তারাই, যারা আল্লাহ তাআলার পথে স্বীয় অর্থ-সম্পদ ব্যয় করতে অভ্যস্ত। স্বচ্ছলতা হোক কিংবা অভাব-অনটন হোক, সর্বাবস্থায় তারা সাধ্যানুযায়ী ব্যয় কাজ বা দানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। বেশি হলে বেশি এবং কম হলে কমই ব্যয় করে। এতে একদিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, দরিদ্র ও নিঃস্ব ব্যক্তিও আল্লাহর পথে ব্যয় করতে নিজেকে মুক্ত মনে করবে না এবং সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখবে না। অপরদিকে আয়াতে এ নির্দেশও রয়েছে যে, অভাব-অনটনেও সাধ্যানুযায়ী ব্যয় অব্যাহত রাখলে আল্লাহর পথে ব্যয় করার কল্যাণকর অভ্যাসটি বিনষ্ট হবে না।

সম্ভবত ব্যয় করার বরকতে আল্লাহ তাআলা আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাচ্ছন্দ্য দান করতে পারেন। স্বচ্ছলতা ও অভাব-অনটন উল্লেখ করার আরও একটি রহস্য সম্ভবত এই যে, এ দুই অবস্থায়ই মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়। অর্থ-সম্পদের প্রাচুর্য হলে আরাম-আয়েশে ডুবে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়।

অপরদিকে অভাব-অনটন থাকলে প্রায়ই সে চিন্তামগ্ন হয়ে আল্লাহর প্রতি গাফেল হয়ে পড়ে। আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, আল্লাহর প্রিয় বান্দারা আরাম-আয়েশেও আল্লাহকে ভুলে না কিংবা বিপদাপদেও আল্লাহর প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ে না।

২. যারা রাগ নিয়ন্ত্রণ করে

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ঘায়েল বা পরাভূত করতে পারাটাই বীর হওয়ার লক্ষণ নয়, বীর হল ওই ব্যক্তি যে নিজেকে ক্রোধের সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।’ (বুখারি ৬১১৪, মুসলিম ২৬০৯)

অনুরূপভাবে এক সাহাবি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন, আমাকে এমন একটি কথা বলুন যা আমার কাজে আসবে, আর তা সংক্ষেপে বলুন যাতে আমি তা আয়ত্ব করতে পারি। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, ‘রাগ করো না’। সাহাবি বার বার একই প্রশ্ন করলেন আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও একই উত্তর দিলেন।’ (বুখারি ৬১১৬; মুসনাদে আহমাদ ৫/৩৪)

অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা কোনো বান্দাকে ক্ষমার বিনিময়ে কেবল সম্মানই বৃদ্ধি করে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয় আল্লাহ তাকে উচ্চ মর্যাদায় আসীন করেন।’ (তিরমিজি ২৩২৫, মুসনাদে আহমাদ ৪/৪৩১)

অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ক্রোধকে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হওয়া সত্বেও দমন করবে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সমস্ত সৃষ্টিকুলের সামনে ডেকে যে কোনো হুর পছন্দ করে নেওয়ার অধিকার দেবেন।’ (ইবন মাজাহ ৪১৮৬)

অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করার চেয়ে বড় কোনো নিয়ন্ত্রণে বেশি সওয়াব নেই।’ (ইবন মাজাহ ৪১৮৯)

৩. যারা মানুষকে ক্ষমা করে দেয়

ক্রোধ তাদেরকে উত্তেজিত করলে তারা তা কার্যকরী না করে সংবরণ করে নেয় এবং তাদের সাথে কেউ অন্যায় করলে তারা তাকে ক্ষমা করে দেয়।

ক্ষমা করে দেওয়া মুমিন ও মুত্তাকি বান্দাদের এক বিশেষ গুণ। মানুষকে আল্লাহ তাআলা তাঁর ইবাদত-বন্দেগি ও তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলার জন্য সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু মানুষ যেহেতু শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে  জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে  আল্লাহ তাআলার আদেশ-নিষেধ লঙ্ঘন করে বসে, আল্লাহ তাআলার মরজি মোতাবেক চলার ক্ষেত্রে ভুল করে থাকে, তাই আল্লাহ তাআলা তার সে ভুল বা গুনাহ থেকে মুক্তিদানের  জন্য ক্ষমা প্রার্থনার ব্যবস্থা রেখেছেন। এই ক্ষমা প্রার্থনা একজন মুমিনকে দান করে নিষ্পাপ ও নিষ্কলুষ জীবন। মুমিনকে সর্বদা গুনাহমুক্ত জীবনের প্রতি করে অনুপ্রাণিত। ক্ষমা মুমিনকে নিয়ে যায় ঈমান ও আমলের ক্ষেত্রে উন্নতি ও মর্যাদার সুউচ্চ শিখরে।

বরগুনার আলো