• বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২৪ ১৪৩০

  • || ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৪

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতার ইতিহাসে ৬ দফা অন্যতম মাইলফলক: রাষ্ট্রপতি ৬ দফার প্রতি জনসমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ সাধ্যমতো চেষ্টা করছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ: শেখ হাসিনা সবাইকে ৩টি করে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর আ.লীগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: শেখ হাসিনা একদিকে মুদ্রাস্ফীতি, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে ভুগছে দেশের মানুষ: প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত: প্রধানমন্ত্রী ‘প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে, এরকম পরিস্থিতি আর হয়েছিল কিনা জানি না’ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি বিশ্বের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪ দিন বন্ধ ঘোষণা সরকার এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে: শেখ হাসিনা দেশজুড়ে উন্নত রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী চা শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশের প্রত্যাশা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে দেশে চা উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে

দানব’ ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা!

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৩  

মহাকাশের অনন্ত বিস্ময় ব্ল্যাক হোল । ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে নিত্যনতুন আবিষ্কার করেই চলেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মহাজাগতিক বস্তুসমূহ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন এমন এক অতিকায় ব্ল্যাক হোল, যেটির ধারে কাছে আসে না আমাদের সূর্যও। কত ভারী সেই ব্ল্যাক হোল?

বিজ্ঞানীদের দাবি, সূর্যের চেয়ে ৩৩০০০০০০০০০ গুণ বেশি ভর রয়েছে ঐ ব্ল্যাক হোলে! অর্থাৎ প্রায় তিন হাজার কোটি সূর্য এঁটে যাবে ঐ ব্ল্যাক হোলের ভেতর।

ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক দল ঐ কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পেয়েছে। তাদের দাবি, এটাই সর্বকালের অন্যতম বৃহৎ ব্ল্যাক হোল। রয়্যাল অ্যাস্ট্রনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। আমাদের সৌরজগতের চেয়ে অনেক দূরে অবস্থিত PBC J2333.9-2343 নামের এক ছায়াপথের কেন্দ্রে রয়েছে ঐ ব্ল্যাক হোল। আর সেই ব্ল্যাক হোল এবার আসছে পৃথিবীর দিকেই।

তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন ব্ল্যাক হোল কিন্তু ব্যতিক্রম নয়। যেকোন অতিকায় ছায়াপথের কেন্দ্রেই এই ধরনের বিরাট ব্ল্যাক হোল থাকাটাই স্বাভাবিক। অন্যতম গবেষক ড. জেমস নাইটিঙ্গেল জানিয়েছেন, নিঃসন্দেহে এই আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই ধরনের ব্ল্যাক হোলের সন্ধান বুঝিয়ে দেয়, ব্যাপারটা কেবল তাত্ত্বিকভাবেই নয়, সত্য়িই অবস্থিত। এই ধরনের ব্ল্যাক হোলগুলো বিশ্বের অল্প বয়সেই সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হয়।

উল্লেখ্য, ব্ল্যাক হোলের গঠন ও চরিত্রকে আরো নিখুঁতভাবে জানতে সারা পৃথিবীতেই কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। কিছুদিন আগেই বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন মহাকাশে বিপুল সুনামি তৈরি করে ফেলতে পারে ব্ল্যাক হোল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA জানিয়েছিল, যখন কোনো বিপুল‌ ভরের ব্ল্যাক হোল নিজের কেন্দ্রে ঘূর্ণায়মাণ নিউক্লিয়াস গঠন করে তখন প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তার কেন্দ্র থেকে সরে যায় মেরুর দিকে। শেষ পর্যন্ত সেখানে বিপুল গ্যাসীয় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। সেই ঢেউ ব্ল্যাক হোলের সীমান্তের অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি তাপমাত্রার (যা সূর্যের থেকেও ১০ গুণ উত্তপ্ত হতে পারে) সংস্পর্শে এলে তা বিপুল ভাবে ছিটকে উঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে ১০ আলোকবর্ষ পর্যন্ত। সেই প্রবল অভিঘাতকে কল্পনা করাও কঠিন।

বরগুনার আলো