• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

অযথা তর্ক ও মিথ্যা পরিহার করবেন যে কারণে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯  

সত্য মানুষকে নাজাত দেয় আর মিথ্যা ধ্বংস করে। অযথা তর্ক-বিতর্ক মানুষের জীবনের প্রতি স্তরে অশান্তির সৃষ্টি করে। তাই অযথা তর্ক কিংবা মিথ্যার জীবন ত্যাগ করা খুবই জরুরি।

ব্যক্তি পরিবার সমাজের জন্য অযথা তর্ক-বিতর্ক ও মিথ্যা এক মহামারী। এগুলো থেকে বেঁচে থাকা ঈমানদারের অন্যতম গুণ। যে ব্যক্তি অযথা তর্ক-বিতর্ক ও মিথ্যা পরিহার করে তার জন্য দুনিয়া ও পরকালে রয়েছে অনেক কল্যাণ।
হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অযথা তর্ক-বিতর্ক করা থেকে যেমন বিরত থাকার কথা বলেছেন তেমনি তর্ক-বিতর্ক পরিহারে স্তরভেদে জান্নাতের পুরস্কার লাভের ঘোষণা দিয়েছেন। আর তাহলো-

হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘অন্যায় বিষয়ে যে ব্যক্তি তর্ক পরিহার করে তার জন্য জান্নাতের পাশে একটি ঘর তৈরি করা হয়। আর যে বক্তি ন্যায় বিষয়ে তর্ক পরিহার করে তার জন্য জান্নাতের মাঝামাঝি স্থানে একটি ঘর তৈরি করা হয়। আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সুন্দর করে তার জন্য জান্নাতের উপরের স্তরে একটি ঘর তৈরি করা হয়।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, বায়হাকি)

আবার তর্ক-বিতর্ক পরিহারের পাশাপাশি যারা হাসির ছলেও মিথ্যা বলে না তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের ঘোষণা। হাদিসে এসেছে-

হজরত মুআজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি ওই ব্যক্তির জন্য একটি জান্নাতের পাশে মধ্যে এবং মর্যাদার স্থানে ঘর নির্মাণের জামিনদার। যারা-

> সত্য অনুসন্ধানী এবং তর্ক-বিতর্ককে পরিহার করে চলে।
> উপহাসের ছলেও মিথ্যা বলে না।
> নিজেদের চরিত্রকে সুন্দর করে।’ (ইবনে বাযযার, তারগিব)


বর্তমান সময়ে দেখা যায়, মানুষ অযথা তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হয়, যা মারাত্মক অশান্তিতে রূপ নেয়। ঝগড়া-ফাসাদসহ সমাজে নানা অশান্তির সৃষ্টি হয়।

হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী, যারা অযথা তর্ক-বিতর্ক থেকে নিজেদের মুক্ত রাখবে, মিথ্যা পরিহার করবে। অন্যায় ও অসত্য পথ পরিহার করে নিজেদের চরিত্রকে সুন্দর ও সত্যের পথে পরিচালিত করবে তাদের জন্য রয়েছে স্তরভেদে জান্নাতের আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থা।

জান্নাতে আলাদা ঘর নির্মাণের এ ঘোষণা তর্ক-বিতর্ক পরিত্যাগকারী মুমিন মুসলমানের জন্য বিশেষ পুরস্কার।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অযথা তর্ক-বিতর্ক ও মিথ্যা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

বরগুনার আলো