• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আজ মান্না দে’র প্রয়াণ দিবস

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২০  

আধুনিক বাংলা গানের জগতে সব স্তরের শ্রোতাদের কাছে মান্না দে অত্যন্ত প্রিয় একটি নাম। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী।  ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ভারতীয় উপমহাদেশের সেরা সঙ্গীত শিল্পী মান্না দে। তিনি হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ অজস্র ভাষায় ষাট বছরেরও অধিক সময় সঙ্গীত চর্চা করে গেছেন। বৈচিত্র্যের বিচারে তাকেই হিন্দি গানের ভুবনে সবর্কালের সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করা হয়।

কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী ১৯১৯ সালের ১ মে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।

সঙ্গীতজগতে তার অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে ভারত সরকার ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মান দিয়েছে। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ প্রদান করে।

মান্না দের আসল নাম হচ্ছে- প্রবোধ চন্দ্র দে। ডাক নাম মানা থেকে তিনি হয়ে ওঠেন মান্না। জানা যায়,পরবর্তী জীবনে তিনি গান গেয়ে বিখ্যাত হলেও প্রথম দিকে খেলাধূলাতেও বেশ আগ্রহ ছিলেন। যৌবনে কুস্তি, বক্সিংয়ের মতো খেলায় পারদর্শী ছিলেন মান্না দে। তাছাড়া ফুটবলও খেলতেন তিনি। সংগীত জগতে আসবেন না আইনজীবী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করবেন- এই নিয়েও নাকি দ্বন্দ্বে ছিলো মান্না দে। তবে কাকা কৃষ্ণচন্দ্র চাইতেন ভাইপো গান করুক। কাকার ইচ্ছেতেই তার গানের জগতে আসা। প্রথমে কাকা কৃষ্ণচন্দ্রর কাছে গানের তালিম নেয়া শুরু করলেও পরে একাধিকজনের কাছেই তিনি তালিম নেন। উস্তাদ আমান আলি খান এবং উস্তাদ আব্দুল রহমান খানের কাছ থেকে হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নেন তিনি।

তিনি রামরাজ্য সিনেমায় কোরাস শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। বাংলা, হিন্দি ছাড়াও মৈথিলি, পঞ্জাবি, গুজরাতি, মারাঠি, কন্নড়, মালায়ালম ভাষাতেও গান করেছেন মান্না দে। মান্না দে তার সঙ্গীত জীবনে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন।

২০১৩ সালের ৮ জুন ফুসফুসের জটিলতার জন্য মান্না দে ব্যাঙ্গালোরে একটি হাসপাতালের আইসিইউ তে ভর্তি হন। তারপরের দিন ৯ জুন তার মৃত্যুর গুজব রটে। ডাক্তাররা এই গুজবের অবসান ঘটান এবং নিশ্চিত করেন যে তিনি তখনও বেঁচে আছেন। তবে তার অবস্থার বেশ অবনতি হয় এবং আরো কিছু নতুন জটিলতা দেখা দেয়। পরে ডাক্তাররা তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। অবশেষে মান্না দে ২৪ অক্টোবর ২০১৩ সালে ব্যাঙ্গালোরে মৃত্যুবরণ করেন।

বরগুনার আলো