আবারো পরিবর্তন আসছে শিক্ষাক্রমে
শিক্ষাক্রমে আবারো পরিবর্তন আসছে। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চলমান শিক্ষাক্রমের ভুলত্রুটি সংশোধন, আন্তর্জাতিক মান ও সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে এ পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। শিক্ষাক্রম পাল্টে গেলে স্বাভাবিকভাবে বইও বদলে যাবে। তবে একসঙ্গে সব শ্রেণিতে নতুন বই প্রবর্তন করা হবে না। ২০২১ সালে প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণি, ২০২২ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, নবম ও একাদশ শ্রেণি এবং ২০২৩ সালে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন শিক্ষাক্রমের বই। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে সর্বশেষ শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। এর আগে ১৯৯৫ ও ১৯৭৬ সালে আরো দুই বার শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়।
সূত্র জানায়, শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই প্রণয়নে ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), রূপকল্প-২০৪১, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের সর্বশেষ নির্বাচনী ইশতেহার বিবেচনায় আনা হচ্ছে। অন্যান্য দেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রমগুলোও এবার বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। এনসিটিবির সদস্য (মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মো. মশিউজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলোর এখন বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষাক্রম পরিবর্তনে প্রথমে নিড অ্যাসেসমেন্ট করা হবে। এ লক্ষ্যে দেশের ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যে দেশের নয়টি শিক্ষা অঞ্চলের ১৮টি জেলার ৩৬টি উপজেলার দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ তথ্যগুলো এখন বিশ্লেষণ করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রসর, অনগ্রসর, দুর্গম অঞ্চলসহ সব বিবেচনায় আনা হয়েছে বলে জানান ড. মো. মশিউজ্জামান। এনসিটিবির বক্তব্য, বিশ্বে প্রতি ৫-৬ বছর পর পর শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা ও পরিমার্জনের রেওয়াজ আছে। তারই অংশ হিসেবে আমরাও শিক্ষাক্রম পর্যালোচনার কাজ শুরু করেছি।
তবে ঘন ঘন পাঠ্যবই পরিবর্তনের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর কারিকুলাম ভারি হয়ে যাচ্ছে। বই প্রণয়নে প্রয়োজনে ৫ বছর লাগুক। কিন্তু ভালো বই প্রণয়ন করতে হবে। যাতে ২০-৩০ বছরে আর বইয়ের পরিবর্তন আনার প্রয়োজন না হয়। তিনি আরো বলেন, আজকাল দেখা যায় বই বেশ মোটা। কিন্তু বইয়ে ম্যাটারিয়াল উন্নত নয়।
রফিকুল ইসলাম নামের এক অভিভাবকও বলেন, মাধ্যমিকের প্রতিটি শ্রেণিতে বইয়ের পৃষ্ঠা বেশি। এছাড়া সিলেবাসও কঠিন। সিলেবাস শেষ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা কোচিংমুখী হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। পাঠ্যবই সহজ করা এবং সিলেবাস কমানোর দাবি জানিয়েছেন এই অভিভাবক।
তবে অভিভাবকদের এই বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে শিক্ষাক্রম প্রণয়নের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ড. মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী বছরে কত ঘণ্টা শ্রেণিকক্ষে সময় পায়, বছরে কতদিন ক্লাস হয় এবং প্রতি ক্লাসে কত মিনিট সময় পায়-সে হিসাবেই বইয়ের সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়। যে সব প্রতিষ্ঠানে বছরের দুই মাস ক্লাস হয় না তারা বইয়ের সিলেবাস শেষ করবে কি করে?’
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ২৪টি পাঠ্যবই পড়ানো হয়। এছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১৩টি বই, নবম-দশম শ্রেণিতে ২৭টি বই ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩৯টি পাঠ্যবই আছে।
বাধ্যতামূলক হচ্ছে বৃত্তিমূলক শিক্ষা
ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই বাধ্যতামূলক ভোকেশনাল (বৃত্তিমূলক) শিক্ষা চালু হতে যাচ্ছে দেশে। হাতে-কলমে শিক্ষা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থী গ্রহণ করবে এই প্রাক-বৃত্তিমূলক শিক্ষা। এছাড়া নবম-দশম শ্রেণির প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীকেও নিতে হবে এই শিক্ষা।
পাশাপাশি বৃত্তিমূলক শিক্ষার বিস্তারে নতুন করে আরো ৬৪০টি প্রতিষ্ঠানে ভোকেশনাল শাখা খোলা হবে। বর্তমানে ১ হাজার ৯৯৩টি প্রতিষ্ঠানে এই শাখা চালু আছে। মাধ্যমিকে ভোকেশনাল শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বরগুনার আলো- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- ‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- আদালতের রায়ের ওপরে কিছু নেই: বুয়েট উপাচার্য
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- বাতাসের চাপ থেকে বিদ্যুৎ: বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি স্টার্টআপ
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট