• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ইংরেজি উচ্চারণে বাংলা বলার সমালোচনা প্রধানমন্ত্রীর

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেও যারা ইংরেজি উচ্চারণে বাংলা বলেন, তাঁদের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে থেকে যাঁরা বাংলা ভাষার মতো করে বাংলা বলতে পারেন না, ইংরেজি উচ্চারণে কথা বলেন, তাঁদের প্রতি করুণা করা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনের সময় শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ছেলেমেয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলা বা নিজের এলাকার ভাষায় (আঞ্চলিক ভাষা) কথা বলাটা ভুলে গিয়ে কেমন যেন ইংরেজি অ্যাকসেন্টে (উচ্চারণে) বাংলা বলার চেষ্টা করে। মনে হয় বাংলা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তারা কিন্তু এই দেশেই লেখাপড়া শিখেছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর দেশে আসতে না পারায় নিজেদের ছেলেমেয়েদের বিদেশের স্কুলে পড়াতে হলেও তাঁরা দুই বোন নিজেদের সন্তানদের সঠিকভাবে বাংলা শেখানোর চেষ্টা করেছেন, এমন কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ও রেহানা সব সময়ই ছেলেমেয়েদের বাংলা শেখাবার চেষ্টা করেছি এবং ঘরে বাংলায় কথা বলেছি। কারণ বাংলা ভাষাটা শিখতে হবে।’

নিজেও ঢাকা ও জন্মস্থান গোপালগঞ্জের ভাষা মিলিয়েই কথা বলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু ছোটবেলাতেই ঢাকায় চলে এসেছি, তাই সেই ভাষার একটা প্রভাব, আর টুঙ্গিপাড়ায় জন্মেছি বলে সেখানকার একটা প্রভাব—সব মিলিয়েই কথা বলি। এর মধ্যে কোনো লজ্জা নেই।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুনবাগিচা, ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: পিআইডি

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা সেই ভাষণে অকাতরে গোপালগঞ্জের শব্দ বলে গেছেন, যা মানুষের ভেতর একটা আবেদন সৃষ্টি করেছিল। জাতির পিতা দ্রুত মানুষের হৃদয়ে, মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। মানুষের কথা বলতে পেরেছিলেন। সেটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে তিনি যে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের মানুষ সেটা গ্রহণ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে সেখান থেকে ফেলোশিপ প্রদানে সরকারের উদ্যোগ গ্রহণের কথাও জানান। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের দেয়ালে জাতির পিতার একটি ম্যুরাল উন্মোচন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং হেড অব দ্য অফিস অ্যান্ড ইউনেসকো রিপ্রেজেনটেটিভ বিয়ট্রিজ কালডুন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার–বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।

বরগুনার আলো