• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ইসলাম শান্তি ও মুক্তির পথ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০১৯  

মানসিক অশান্তি ও অবসাদ মানব জীবনের একটি বড়ো সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেক অমুসলিমও ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। কারণ ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম ও শান্তির আলয়। ইসলামে রয়েছে এমন কিছু বিশ্বাস ও আমল যা মানসিক প্রশান্তি লাভে অত্যন্ত কার্যকর। এমন পাঁচটি বিষয় তুলে ধরছি।

 

এক. একত্ববাদে বিশ্বাস: যুক্তরাষ্ট্রের সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে জার্মানির ম্যান হেইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিস্ট ড. লরা ম্যারি এডিনগার-স্কন্স কর্তৃক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেই গবেষণায় উঠে এসেছে যে, মুসলিমরাই এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী। কারণ মুসলিমরা একজন সৃষ্টিকর্তার ওপর পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে জীবন পরিচালনা করেন। মুসলিমরা তকদির বা ভাগ্যে বিশ্বাস করেন। ফলে অল্পতেই তারা সন্তুষ্টি ও পরিতৃপ্তি বোধ করেন।

মুসলিমদের মনে আল্লাহর ভয় থাকে বদ্ধমূল। ফলে তারা বহুবিধ পাপাচার থেকে বিরত থাকেন। আল্লাহর একত্ববাদ আর আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস মুসলিমদেরকে প্রভাবিত করায় হতাশা ও উদ্বেগ তাদেরকে খুব বেশি গ্রাস করতে পারে না। গবেষণার বিশ্লেষণে দেখা যায়, অতি মাত্রায় একত্ববাদে বিশ্বাস বিষণ্ণতা, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও আত্মহত্যার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ধর্ম ও সুখের সঙ্গে একটি ইতিবাচক সংযোগ আছে। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১১ জুলাই ১৯)।

দুই. কোরআন অধ্যয়ন: কোরআন তেলাওয়াত। অধ্যয়নের মাধ্যমেও হৃদয়ে প্রশান্তি আসে। কোরআন মাজিদ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি কোরআনে এমন বিষয় নাজিল করি যা সকল রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।’ (সূরা বানি ইসরাঈল, আয়াত ৮২)।

ইতালির বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ৩৮ বছর বয়স্ক রোকসানা ইলিনা নেগ্রা ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন করেছি। যতই পড়েছি ততই আমি মুগ্ধ হয়েছি। এই মুগ্ধতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি মনোবিজ্ঞানের ছাত্র। আমি সবসময় প্রশান্তির জন্য, অসুস্থতা থেকে নিরাময়ের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা ও গবেষণা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ! আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি—ইসলামেই রয়েছে সবকিছুর সঠিক সমাধান।’ (সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭)

তিন. নামাজ আদায়: নামাজ আদায়ের ব্যাপারে রোকসানা ইলিনা নেগ্রা বলেন, ‘ইসলামের প্রধান ইবাদত নামাজ অনুশীলন দুনিয়াতে প্রশান্তি লাভের অন্যতম সেরা মাধ্যম।’ (প্রাগুক্ত)। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মানুষের অন্তরে প্রশান্তি আসে। নামাজ আদায়কারীরা মানসিক অশান্তি থেকে নিরাপদ থাকে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে ভীরুরূপে। যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে হা-হুতাশ করে। আর যখন কল্যাণপ্রাপ্ত হয়, তখন কৃপণ হয়ে যায়। তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামাজ আদায়কারী। যারা তাদের নামাজে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।’ (সূরা মায়ারিজ, আয়াত ১৮-২৩)।

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতেন বেলাল (রা) কে বলতেন, ‘নামাজের ইকামত দাও, এর মাধ্যমে আমাকে প্রশান্তি দাও।’ আবু দাউদ, হা/৪৯৮৫। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পেরেশান হতেন নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। আবু দাউদ, হা/১৩১৯।

চার. আল্লাহর স্মরণ: পরিপূর্ণ মানসিক প্রশান্তি লাভ ও সবরকম মানসিক উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করা। আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি এবং হৃদয়ের পরিতৃপ্তি অর্জিত হয়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ইমান আনে ও আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর প্রশান্ত হয়। জেনে রেখ, আল্লাহর স্মরণেই শুধু হৃদয় প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ, আয়াত ২৮)

পাঁচ. আল্লাহর ওপর তাওয়াককুল বা নির্ভরতা: একজন ইমানদার আল্লাহ তায়ালার ওপর এই বিশ্বাস রাখে যে, সর্ববিষয়ে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।’(সূরা তালাক, আয়াত ৩) আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা ও পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস স্থাপনে তার মনোবল বেড়ে যায়। ফলে সে অন্তরে খুঁজে পায় এক অনাবিল সুখ ও পরিতৃপ্তি।

বরগুনার আলো