• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা

উপকূলে সম্ভাবনাময় কেওড়া চাষ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৯  

বরগুনার পাথরঘাটায় বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর সঙ্গে সাগরের মোহনায় গড়ে উঠছে হরিণঘাটা ও লালদিয়া বন। বনের পূর্ব প্রান্তে সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি নজর কাড়ে সবুজ কেওড়া গাছ।

এ বনাঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু গাছ কেওড়া। এ গাছ প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় এলাকার রক্ষাকবচ হিসেবে পরিচিত। সম্ভাবনাময় এ ফল রফতানি করে রাজস্ব আয় বাড়ানো সম্ভব।

কেওড়া উপকূলীয় অঞ্চলের অতি পরিচিত ফল। সুন্দরবনের সহজলভ্য কেওড়া ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সবুজ রঙের ফলের উপরের অংশের স্বাদ টক। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। কেওড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টেরল ও চর্বি কমায়।

অনেকটা ডুমুরের মতো, কাঁচাও খাওয়া যায়। এছাড়া কেওড়ার চাটনি, টক আর ডাল উপকূলীয় মানুষের পছন্দের খাবারের মধ্যে অন্যতম। উপকূলের অনেক পরিবারে চুলো জ্বলে কেওড়া বিক্রি করে পাওয়া অর্থে।

সুন্দরবনে উৎপন্ন মধুর একটা বড় অংশ আসে কেওড়া ফুল থেকে। এ গাছটি হয়ে উঠতে পারে লবণাক্ত ও কর্দমাক্ত জমির বিশেষ ফসল। এ গাছ উপকূলীয় মাটির ক্ষয় রোধ করে, উর্বরতা বাড়ায়।

 

লালদিয়া কেওড়া বন

লালদিয়া কেওড়া বন

কেওড়া ফল রফতানির ব্যবস্থা করা হলে রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে, তেমনি কর্মসংস্থান হবে উপকূলের হাজারো নিম্নবিত্ত মানুষের। সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর পাড়ের অনেক মানুষ কেওড়াকে সম্ভাবনাময় ফল হিসেবে দেখছেন। অনেক দরিদ্র পরিবার এ ফল আহরণ ও বিক্রি করে সচ্ছল হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাথরঘাটা থেকে প্রচুর কেওড়া ফল বিক্রি হয়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কেওড়া ফলে রয়েছে ১২% শর্করা, ৪% আমিষ, ১.৫% ফ্যাট, ভিটামিন সি। কেওড়া ফল পলিফেনল, ফ্লাভানয়েড, অ্যান্থোসায়ানিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, আনস্যাচুরেটেড ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ। এ ফল শরীর ও মনকে সতেজ রাখার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর। চায়ের মত এ ফলটিতে ক্যাটেকিনসহ বিভিন্ন ধরনের পলিফেনল রয়েছে।

বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জোয়ার-ভাটা হয় এমন চরভরাটি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কেওড়া চাষ করা হলে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণের পাশাপাশি জ্বালানি কাঠ-ফল বিক্রি ও রফতানি করা সম্ভব। এতে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতির উন্নয়ন হবে।

বরগুনার আলো