• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

উপমহাদেশের স্বার্থে পাকিস্তানের স্বীকৃতি জরুরি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২১  

১৯৭৩ সালের ২৩ জানুয়ারি। তখনও পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে নানা টালবাহানা করছে। সেদেশে আটক বাঙালিদের বিচার করার হুমকি থেকে শুরু করে, তাদের ফিরতে না দেওয়া, এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিতে নানা কৌশল আটছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং বলেন, ‘বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানের প্রশ্নে পাকিস্তানের অব্যাহত দোদুল্যচিত্ততা উপমহাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।’ বাসসের বিশেষ সংবাদদাতা আতাউস সামাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।

সরদার শরণ সিং বলেন, ‘আমাদের নতুন উপলব্ধি হচ্ছে, বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ছাড়া বিশ্বের এই অঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাবে না। পাকিস্তান এ বাস্তবতাকে মেনে না নেওয়ায় দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ এই সাক্ষাৎকারে সরদার সিংকে উপমহাদেশের সাধারণ পরিস্থিতি এবং ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে প্রদত্ত বিভিন্ন বিবৃতির ওপর মন্তব্য করতে বলা হয়।

সম্প্রতি ভারতে প্রদত্ত এসব বিবৃতির কয়েকটিতে যুদ্ধবন্দি প্রশ্নে ভারত সরকারকে তার নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়। স্বতন্ত্র পার্টির নেতা শ্রী পিলু মোদি এ ধরনের একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। এক শ্রেণির সংবাদপত্রেও এই মত প্রকাশ করা হয়। সরদার সিং উপমহাদেশের ঘটনাবলীর কালানুক্রমিক পর্যালোচনা করে এ প্রশ্নের এক দীর্ঘ জবাব দেন।

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কোনও গোপন চুক্তি নেই

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোনও গোপন চুক্তি নেই।’ বাসসের প্রতিনিধির সঙ্গে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক— দুইটি বন্ধু ভাবাপন্ন প্রতিবেশী দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ক। ১৯৭২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত শান্তি ও সহযোগিতা চুক্তি একটি প্রকাশ্য দলিল। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোনও গোপন ব্যবস্থা নেই। এরকম প্রচারের কোনও ভিত্তি নেই।’

শরণ সিং বলেন, ‘দুই দেশের সরকার আশা প্রকাশ করে যে, বাংলাদেশ-ভারত এই দুই রাষ্ট্রের জনগণ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের স্বীকৃতিদানের প্রশ্নটি ক্রমাগত উপমহাদেশের স্বাভাবিক অবস্থা প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।’

মনোনয়নের আবেদনপত্র বাছাই শুরু

এ দিনে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক।  প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই করে দেখেন। আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড রাজশাহী বিভাগের সব মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন এদিন। দলীয় প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। টানা ৯ ঘণ্টা বৈঠক চলে। এ সময় সব সদস্যই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। গাইবান্ধার মহিলা কর্মী রওশন আরা বকুল সাধারণ আসনের জন্য এই বোর্ডের সামনে হাজির হয়েছিলেন। খুলনা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য পরের দিন সকালে প্রধান কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক বসবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ভূমিহীন কৃষক পাবেন খাসজমি

এপ্রিল নাগাদ ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে খাসজমি দেওয়ার কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশের ঘোষিত ভূমি সংস্কার বাস্তবায়ন ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে মূল্যায়নের জন্য সরকার একটি জরিপ ও মূল্যায়ন সেল গঠন করে। ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি গঠন করা হয়। কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে জানান ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কারমন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত। ১৯৭৩ সালের এই দিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে একথা জানানো হয়।

বরগুনার আলো