উম্মু সুলাইম : ধৈর্যশীলতার প্রতীক এক নারী সাহাবি
উম্মু সুলাইম তার ডাকনাম, আসল নাম রুমাইসা বিনতু মিলহান। বীরত্ব, সাহসিকতা ও ধৈর্যশীলতায় ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহিয়সী নারী উম্মতের জন্য ‘পথিকৃৎ’ হয়ে আছেন, উম্মু সুলাইম (রাদিয়াল্লাহু আনহা) তাদের অন্যতম। বহু গুণে গুণান্বিত ছিলেন মহিয়সী এই নারী। জ্ঞানচর্চায় ছিলেন অগ্রগামী। নবিজির প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা। সন্তান প্রতিপালনে ছিলেন অনন্য আদর্শ। ধৈর্যের ক্ষেত্রে ছিলেন উপমাতুল্য। মেহমানদারিতেও ছিলেন অতুলনীয়। আর জিহাদের ময়দানে ছিলেন নিবেদিত মুজাহিদা।
আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু সুলাইম এবং কতিপয় আনসার মহিলাকে যুদ্ধে নিয়ে যেতেন। তারা মুজাহিদদের পানি পান করাতেন এবং আহতদের চিকিৎসা দিতেন।[১]
কিন্তু তার সন্তান আবু উমাইরের মৃত্যুতে তিনি ধৈর্যশীলতার যে অনন্য উদাহরণ পেশ করেছেন, সত্যিই তার কোন তুলনা হয় না।
আবু উমাইর যখন মারা যায় তখন সে কেবল হাঁটতে শিখেছে। ছোট ছোট পা ফেলে যখন সে হাঁটে বাবা-মা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। এমন সময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নেন। ছেলেটি আবু তালহার খুব আদরের ছিল।
অসুস্থ ছেলেকে ঘরে রেখে আবু তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু কোনো কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে ছেলের মুত্যু হয়। মা উম্মু সুলাইম বাড়ির অন্য লোকদের বলে রাখলেন, আবু তালহা ফিরে এলে কেউ তাঁকে ছেলের মৃত্যুর খবরটি যেন না দেয়। আবু তালহা ঘরে ফিরে এসে অসুস্থ ছেলের অবস্থা জানতে চাইলেন। উম্মু সুলাইম বললেন, যে অবস্থায় ছিল তার চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। স্ত্রীর কথায় আবু তালহা মনে করলেন, ছেলে ভালো আছে।
তিনি যথারীতি পানাহার সেরে বিছানায় গেলেন। স্বামী-স্ত্রী গভীর সান্নিধ্যে আসলেন। এরপর উম্মু সুলাইম স্বামীকে ছেলের মৃত্যুর খবর এভাবে দেন যে—
: আচ্ছা আবু তালহা, যদি কেউ আপনার নিকট কোনো জিনিস গচ্ছিত রাখে এবং পরে তা ফেরত নিতে আসে তখন কি তা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানাবেন?
: কক্ষণই না। আবু তালহা বললেন।
: তাহলে বলছি, ছেলের ব্যাপারে আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে। সে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে।
: সে এখন কোথায়? আবু তালহা জানতে চাইলেন।
: এই যে গোপন কুঠুরীতে। উম্মু সুলাইম বললেন।
আবু তালহা সেখানে ঢুকে মুখের কাপড় সরিয়ে ইন্না-লিল্লাহ পাঠ করলেন।
এরপর আবু তালহা রাসুলের দরবারে উপস্থিত হয়ে ছেলের মৃত্যু এবং উম্মু সুলাইমের ধৈর্যের কথা তাঁকে জানালেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবকিছু শুনে মন্তব্য করলেন, ‘আল্লাহ আজকের রাতটি তোমাদের জন্য বরকতময় করেছেন। যিনি আমাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন সেই সত্ত্বার শপথ! আল্লাহ তার হৃদয়ে এক ধরনের প্রশান্তি বর্ষণ করেছেন। এ কারণে সে সন্তানের মৃত্যুতেও এত কঠিন ধৈর্য ধারণ করতে পেরেছে।’[২]
নবিজি সেদিন এই দম্পতির জন্য এই বলে দুয়া করেছিলেন, ‘হে আল্লাহ! এ দু’জনের এ রাতটির মধ্যে খায়র ও বরকত দিন।’
উম্মু সুলাইম যখন সন্তান প্রসব করলেন, খবর পেয়ে নবিজি আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন, ‘ও আনাস! তোমার মায়ের কাছে গিয়ে বলো, সন্তানের নাড়ি কাটার পর আমার কাছে না পাঠিয়ে তার মুখে যেন কিছুই না দেয়।’ আনাস বলেন, ‘আমার মা ছেলেকে আমার হাতে তুলে দেন। আমি নবিজির সামনে এনে রাখি।’ তারপর তিনি আনাসকে তিনটি আযওয়া খেজুর আনতে বলেন। আনাস তা নিয়ে এলে তিনি সেগুলোর আঁটি ফেলে দিয়ে নিজের মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে ভালো করে চিবান। পরে শিশুটির মুখ ফাঁক করে কিছু তার মুখে দিয়ে দেন। শিশুটি মুখ নেড়ে চুষতে থাকে। তা দেখে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মন্তব্য করেন, ‘আমার আনসাররা খেজুর পছন্দ করে।’ তারপর শিশুটিকে আনাসের হাতে দিয়ে বলেন, ‘তোমার মায়ের কাছে নিয়ে যাও।’[৩]
তথ্যসূত্র
[১] সহিহ মুসলিম : ৪৭৮৫; আবু দাউদ : ২৫৩৩।
[২] হায়াতুস সাহাবা: ২/৫৯০, আল-ইসাবা: ৪/৪৬১।
[৩] হায়াতুস সাহাবা: ২/৫৯১, ইবনু আসাকির : ৬/৬।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- আদালতের রায়ের ওপরে কিছু নেই: বুয়েট উপাচার্য
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- বাতাসের চাপ থেকে বিদ্যুৎ: বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি স্টার্টআপ
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট