করোনা ভাইরাস : পদ্মাসেতু প্রকল্পে জরুরি সতর্কতা

পদ্মাসেতুতে প্রায় এক হাজার ১০০ চীনা প্রকৌশলী ও শ্রমিক নিয়োজিত আছেন। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ সিনো হাইড্রো করপোরেশনে এসব প্রকৌশলী ও শ্রমিক কাজ করছেন।

গেল ২৫শে জানুয়ারি চীনা নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক শ্রমিক-প্রকৌশলী চীনে গমন করেছেন। কিন্তু তারা সেদেশেই আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া সেতুতে কর্মরত শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পদ্মাসেতুতে সতর্কতা মূলক নানা কর্মকাণ্ড হাতে নেয়া হয়েছে। 

মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে পদ্মাসেতু প্রকল্পে সচেতনতামূলক একাধিক সভা হচ্ছে। সভায় সতর্কতামূলক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। চীনা নববর্ষ উপলক্ষ্যে পদ্মাসেতু থেকে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক চীনা শ্রমিক-প্রকৌশলী সেখানে আটকা পড়েছেন। তারা বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। এছাড়া চীনে পদ্মাসেতুর নানা কাজ চলছে, সেখানে পাঁচজন বাংলাদেশীও আটকা পড়েছেন। পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকায় একটি মেডিক্যাল টীমও গঠন করা হয়েছে। 

তিনি আরো জানান, বেশিরভাগ চীনা শ্রমিক  বিদেশে থাকায় কাজে ধীর গতি দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহ দেখার পর কাজের গতি ঠিক রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।

এখন পর্যন্ত জাজিরা প্রান্তে কোন শ্রমিকের সেরকমভাবে অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেনি। এছাড়াও মাওয়া প্রান্তেও কোন চীনা শ্রমিক অসুস্থ হোননি। যেসব চীনা শ্রমিক ও প্রকৌশলী কাজ করেন তারা প্রকল্প এলাকায় আলাদাভাবে বসবাস করে থাকেন। বাহিরে যেতেও নানা নির্দেশনা আছে তাদের। রাতে বাহিরে যেতে হলে পুলিশের প্রয়োজন হয়। সেতুতে চীনা ও বাংলাদেশিরা একসাথেই কাজ করে যাচ্ছেন। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।