• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কুরবানির চামড়ার ব্যবহার সম্পর্কে যা বলেছেন বিশ্বনবি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২০  

পশু কুরবানি করবেন কিন্তু কুরবানির পশুর চামড়া কী করবেন? এ চামড়া ব্যবহার কিংবা বিক্রি করে অর্থ খরচে ইসলামের বিধানই বা কী? এ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। এ প্রসঙ্গে ইসলামে রয়েছে সুন্দর সমাধান। কুরবানি দাতা ইচ্ছা করলেই নিজের কুরবানির পশুর চামড়া ব্যবহার করতে পারবেন।

কুরবানির চামড়ার ব্যবহার
কোনো ব্যক্তি যদি কুরবানি দেয় তবে সে তার কুরবানি করা পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করতে পারবেন। কুরবানিকারী ব্যক্তি ইচ্ছা করলে নিজের কুরবানির চামড়া দাবাগাত করে তা ব্যবহার করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। কুরবানির চামড়া ব্যবহার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘তোমরা কুরবানির পশুর চামড়া দ্বারা উপকৃত হও; তবে তা বিক্রি করে দিও না।’

কুরবানির চামড়া বিক্রি
কুরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করা যাবে। তবে বিক্রিত অর্থ কুরবানিকারী নিজ কাজে খরচ করতে পারবে না। আর তা নিজের কাজে খরচ করা জায়েজও নেই। এ অর্থ গরিব-মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করে দিতে হবে। হাদিসে এসেছে-

হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আমি যেন কুরবানির মজুরি বাবদ গোশত বা চামড়া থেকে কসাইকে কোনো কিছু প্রদান না করি।’

চামড়ার বিক্রিত অর্থ যাকে দেয়া যাবে
যারা জাকাত, ফিতরা পাওয়ার উপযুক্ত তারাই কুরবানির চামড়ার অর্থ পাওয়ার হকদার। তবে এক্ষেত্রে ইয়াতিম, গরিব তালিবুল ইলম তথা ইলমে দ্বীনের গরিব শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া যাবে।
তালিবুল ইলম তথা ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী যদি ইয়াতিম বা গরিব হয় তবে তাকে জাকাত, ফিতরা ও কুরবানির চামড়ার মূল্য দানে অধিক সাওয়াব রয়েছে।

হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, কুরবানির পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করা উত্তম। তবে তা বিক্রি করলে তার মূল্য নিজের কাজে লাগানো যাবে না। এমনকি চামড়া বা গোশত দ্বারা কসাইর মজুরিও দেয়া যাবে না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব কুরবানিদাতাকে চামড়ার ব্যবহারের বিষয়ে যথাযথ পন্থা অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। আর তা বিক্রি করলে তার মূল্য বা অর্থ ইয়াতিম, গরিব, মিসকিন ও ইলমে দ্বীনের গরিব শিক্ষার্থীকে দান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বরগুনার আলো