• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

গভীর সাগরে ছোট দ্বীপে পাখি আর লাল কাঁকড়ার সৌন্দর্য‌্য

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯  

চারদিকে সাগরের অথৈ জলরাশি। পশ্চিম দিকে নানা রঙের হাজারো অতিথি পাখি আর পানকৌড়ির কলতানে মুখরিত, নেই মানুষের কোলাহল। পূর্ব দিকে হাজার হাজার লাল কাকড়ার মহাসমাবেশ। কোথাও শুধু ধু ধু বালুচর।

জায়গাটি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চরবিজয়ের। এই সেদিন, ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকের গভীর সমুদ্রে এ চরের সন্ধান পায় পর্যটন ব্যবসায়িরা।

প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি লোকালয়ের অনেকটা দূরে বঙ্গোপসাগারের গভীরে বুকের ভেতরে। ছোট ভূখণ্ডে পর্যটক আর মৎস‌্যজীবী ছাড়া মানুষ নেই, বসতি নেই,নেই বাড়ি-ঘর, এমনকি নেই গাছও। সমুদ্রের মাঝে সূর্যের আলোর চিকচিক দৃশ্যের সাথে ঢেউয়ের খেলা। রয়েছে এই একই স্থানে দাড়িয়ে সুর্য উদয় ও অস্ত যাওয়া দৃশ‌্য দেখার সুযোগ।

প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও দেড় কিলোমিটার প্রস্থ এ চরটি। তখন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন পর্যটকদের কাছে চরটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে বাগান তৈরি করতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ হাজার চারা রোপন করেন। এসময় জাতীয় পতাকা ও সাইনবোর্ড টানিয়ে চরের নামকরণ করেন ‘চর বিজয়’।

 

তবে জেলেসহ স্থানীয়দের কাছে এ চরটি হাইরের চর নামেও পরিচিত। কুয়াকাটা সৈকত থেকে ট্যুরিস্ট বোট নিয়ে মাত্র দেড় ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় এ চরটিতে।

জেলেরা জানান, বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস চরটি সাগরের পানিতে হাঁটু পরিমাণ ঢাকা থাকে। আবার শীত মৌসুমে উঁকি দেয়। এসময় ছোট ছোট ডেরা তৈরি করে শুঁটকি করার জন্য দুই তিন মাস এ চরে অবস্থান নেয় জেলেরা।

 জেলেদের জাল দিয়ে চরে মাছ শিকার। সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময় চরটিতে অপরূপ দৃশ্য আর ঢেউয়ের শব্দ, অগণিত অতিথি পাখির কিচির মিচির ও লাল কাঁকড়াদের বর্ণিল আলপনা অসাধারন। ’

চর বিজয়ের নামকরণকারীদের একজন ট্যুরিজম ব্যবসায়ি হোসাইন আমির বলেন, ‘সমুদ্রের মাঝে জেগে ওঠা চরটি ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর বিজয়ের এই মাসে আবিষ্কার হয়েছে। তাই এ চরটির নামকরন করা হয় চর বিজয়। ’

 সম্ভাবনাময় এই চরটি ইতোমধ্যে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়েছে। দিন দিন বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ. বারেক মোল্লা বলেন, এ চরটিতে শৌচাগার, পিকনিক স্পট, সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করা প্রয়োজন। কিন্তু পৌরসভার বাইরে হওয়ায় এসব কাজ করা যাচ্ছেনা। তবে এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। ‘

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান জানান, চর বিজয় অতিথি পাখিদের অভয়ারণ‌্য একটি দ্বীপ। এটি রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে।

বরগুনার আলো