• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে মোবাইল টাওয়ার অপসারণ: হাইকোর্টের রায়

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খেলার মাঠ ও জনসমাগম থেকে মোবাইল টাওয়ার সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ।বৃহস্পতিবার সকালে এর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে ২৫ এপ্রিল টাওয়ার সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রায়ের ১১ দফা নির্দেশনায় বলা হয়, এক. মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রা নির্ধারিত মাত্রার দশ ভাগের একভাগ করা; দুই. মোবাইল টাওয়ার বাসার ছাদ, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ক্লিনিক, কারাগার, খেলার মাঠ, জনবসতি এলাকা, হেরিটেজ ও প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকাসহ ইত্যাদি স্থানে না বসানো এবং যেগুলো বসানো হয়েছে, তা অপসারণ; তিন. বিকিরণ মাত্রা যেন বেশি না হয় সে ব্যাপারে অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ; চার. টাওয়ার বসাতে জমি অধিগ্রহণে কোনো বাধা আছে কি-না বা বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ; পাঁচ. টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রা বিটিআরসি ও লাইসেন্সি দু’পক্ষকেই স্বাধীনভাবে আইটিইউ এবং আইইসির মান অনুসারে পরিমাপ করা; ছয়. কোনো টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রা বেশি হলে তা অপসারণ করে নতুন টাওয়ার বসানো; সাত. টাওয়ার ভেরিফিকেশন মনিটর পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিটিআরসির দায়-দায়িত্ব বাধ্যতামূলক; আট. বিটিআরসি স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং সেল গঠন; নয়. বিটিআরসিকে অন্যদেরকে নিয়ে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি গঠন। লাইসেন্সিকে প্রতি ছয় মাসে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল; দশ. মোবাইল সেটে দৃশ্যমানভাবে এসএআর মান লেখা এবং এগারো. সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সির প্রতিটি রিপোর্ট/রেকর্ড পাঁচ বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদালতের আদেশ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে আরও গবেষণা করে রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার হয়। এরপর ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হয়। তখন রুল জারি করলে বৃহস্পতিবার সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

বরগুনার আলো