ঘরে ঘরে ঠাণ্ডা কাশি জ্বর
কভিড-১৯ বা নভেল করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মুখে অস্থিরতার আড়ালে দেশে দিনে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত নানা রোগে। সব মিলিয়ে ১০৮ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৩৮৪। মারা গেছে ৬১ জন।
২০১৫ সাল থেকে সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যায়, এর আগে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ছিল ২০১৭-১৮ সালে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭ জন। মৌসুমের ওই পাঁচ মাসে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। আর ২০১৫ থেকে গত বছর পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয় তিন লাখ ৬৭ হাজার ৫৫৯ জন এবং এই চার বছরে মৃত্যু হয় মোট ৮০ জনের। সেই হিসাব ধরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের মতো এক মৌসুমে এত আক্রান্ত এর আগে কাছাকাছি সময়ে দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ, তাপমাত্রার অস্বাভাবিক তারতম্য ও মানুষের অসচেতনতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে একই সঙ্গে রোগের জটিলতা ও ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাকেও দায়ী করছে কেউ কেউ। সরকারি তথ্য অনুসারেই এই মৌসুমি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা চার বছরের যোগফলের দ্বিগুণেরও বেশি। আবার মৃত্যুহারও যেকোনো বছরের চেয়ে বেশি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, একদিকে জলবায়ুজনিত তারতম্য অন্যদিকে বায়ুদূষণ এবার রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্রের রোগ অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতার মাত্রা বাড়ানো খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, শিশু ও বয়স্কদের জটিলতা বেশি দেখা যায়। পরিবারের অন্যদের উচিত তাদের দিকে বেশি নজর রাখা। এ ছাড়া আগে থেকেই যারা ক্রনিক রোগে ভুগছে তাদের ক্ষেত্রেও এমন মৌসুমি রোগের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। জটিলতা বেড়ে গেলে চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৫-১৬ সালে এই তিন ধরনের শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ সাত হাজার ৩৫৯ জন আর ওই বছর মৃত্যু হয় ৩৮ জনের। পরে ২০১৬-১৭ সালে আক্রান্ত হয় ৬১ হাজার ৫৬৪ জন, মারা যায় ১১ জন, ২০১৭-১৮ সালে আক্রান্ত হয় এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭ জন আর মারা যায় ২০ জন, ২০১৮-১৯ সালে আক্রান্ত হয় ৮৬ হাজার ৭৫৯ জন এবং মৃত্যু হয় ১১ জনের।
আর চলতি মৌসুমে গত ১ নভেম্বর থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত ১০৮ দিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৩৮৪ জন এবং মৃত্যু ঘটেছে ৬১ জনের। এর মধ্যে এবার গত ১ নভেম্বর থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৮৭ হাজার ৭৬০ জন, ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দুই লাখ ছয় হাজার ৫৬০ জন এবং ঠাণ্ডাজনিত অন্যান্য রোগে দুই লাখ ২৭ হাজার ২৮ জন। এর মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের রোগে মৃত্যু ঘটেছে ২২ জনের, ডায়রিয়ায় ৯ জনের ও অন্যান্য শীতজনিত রোগে ৩০ জনের।
রোগতত্ত্ব বিজ্ঞানী ও আইইডিসিআরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহামুদুর রহমান বলেন, জলবায়ুর প্রভাব, আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ ও মানুষের রোগ প্রতিরোধমূলক অসচেতনতার কারণে যেমন মৌসুমি রোগের প্রকোপ বাড়ছে, আবার এসব রোগের জটিলতাও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সেই সঙ্গে ব্যবস্থাপনায়ও ঘাটতির বিষয়টি রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে সব হাসপাতালে এখনো আমরা সব ধরনের চিকিৎসার সুযোগ পর্যাপ্তভাবে সৃষ্টি করতে পারিনি। অন্যদিকে আরেকটি সমস্যা হচ্ছে মানুষ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে আসে রোগ জটিল হয়ে ওঠার পরে। অথচ এ ধরনের রোগগুলো প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার আওতায় আনা গেলে সবদিক থেকেই মানুষের সুরক্ষা মেলে। ভোগান্তিও যেমন কমে তেমন মৃত্যু হারও কমানো যায়।
ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, মৌসুমি রোগের পর্যবেক্ষণের ওপরেও জোর দেওয়া জরুরি। তাতে করে এর গতিবিধি এবং পূর্বাপর প্রকোপ কম না বেশি তা নিরূপণ করে করণীয় ঠিক করা সহজ হয়।
শ্বাসতন্ত্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রাশেদুল হাসান বলেন, দেশে শ্বাসতন্ত্রের রোগের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। চিকিৎসায়ও দেখা দিয়েছে জটিলতা। কিন্তু সেই অনুসারে ব্যবস্থাপনা আরো বেশি প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার তথ্য দিয়ে জানান, ৬৪ জেলা ও ২৯৬টি উপজেলা পর্যায় থেকেও তথ্য আসছে প্রতিদিন। আমরা শীতজনিত রোগের ক্যাটাগরিতে রাখা ওই হিসাব তিনটি ভাগে বিভাজন করি। এর মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়রিয়া ও শীতজনিত আরো অন্যান্য রোগকে হিসাব করা হয়। এতে এবার দেখা গেছে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শীতজনিত রোগে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যু অনেক বেশি। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে পরের বছরের মার্চ পর্যন্ত এই শীতজনিত রোগের হিসাব সংরক্ষণ করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুসারে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্ত হয়েছে চার হাজার ৫২১ জন।
বরগুনার আলো- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- আদালতের রায়ের ওপরে কিছু নেই: বুয়েট উপাচার্য
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- বাতাসের চাপ থেকে বিদ্যুৎ: বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি স্টার্টআপ
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট