• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

`ডব্লিউ পজিশনে` বসা ক্ষতিকর অভ্যাস!

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বাচ্চাদের প্রিয় কাজগুলোর মধ্যে প্লাস্টিকের খেলনা কামড়ানো, মাটি মুখে দেয়া, মাটিতে খেলা ছাড়াও আরো নানান কিছু রয়েছে। তারা জানে না কোন জিনিসটা তাদের জন্য ভাল এবং কোন জিনিসটা তাদের জন্য খারাপ। আর এসব কাজে বাঁধা দিলেই ঘটে বিপত্তি।

আপনি যতই তাদের সুরক্ষিত রাখতে চান না কেন, অনুচিত কাজগুলো তারা করতে চাইবেই। এসব কাজের ফলে তাদের কি কি অসুবিধা হতে পারে তা তারা বুঝে না। তাই তাদের সব সময় বড়দের নজরদারিতে রাখতে হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠিক তেমনি ডব্লিউ (W) পজিশনে বসা বাচ্চাদের জন্য অনুচিত। তাই যদি কখনও কোনো বাচ্চাকে W পজিশনে বসতে দেখেন সাথে সাথে তাকে থামাবেন!

কেন? চলুন জেনে আসি-

এই বিশেষ পজিশনে বসলে পায়ের গোড়ালি শরীরের পেছনের দিকে এবং হাঁটু সামনের দিকে অবস্থান করে।  এতে হাঁটুর অংশে একটা V এর আকৃতি নেয় এবং দুই পা মিলিয়ে W এর আকার নেয়।

এখন বলবো এভাবে বসার ফলে প্রথমত, শরীরে খুব জলদি ক্লান্তি চলে আসে। কারণ এই পদ্ধতিতে বসলে প্রচুর শক্তি খরচ হয়। তাই বাচ্চারা অলস অনুভব করবে!

এটা বাচ্চাদের পায়ের অঞ্চলকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পায়ের পেশিকে টান টান করে দিবে, যা বাচ্চাদের জন্যে মোটেও ভাল না।

এটা লম্বা সময় ধরে বসলে আরো খারাপ ফল নিয়ে আসবে। এভাবে দীর্ঘসময় বসে থাকলে বাচ্চার স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্নায়ুবিক সমস্যা মানেই মগজের সঙ্গে জড়িত এবং এটা কখনই এড়িয়ে যাওয়ার মত বিষয় নয়।

এর ফলে পায়ের পেশি অসাড় করে দিবে এবং পায়ের অঙ্গবিন্যাস নষ্ট করে দিতে পারে। কারণ পায়ের পেশি এবং হাড় অনেক নরম হয়।

বাচ্চারা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বসার ফলে শরীর সমন্বয় এবং ভারসাম্য হারাবে। এর সঙ্গে সঙ্গে ঘটতে পারে হিপ ডিসপ্লেসিয়া বা কোমরের হাড়ের পাশাপাশি পায়ের হাড়ের অবস্থান পরিবর্তন। এর ফলে একটা স্বতঃস্ফূর্ত শিশুর ভবিষ্যৎ একেবারে বদলে যেতে পারে।

তাই আপনাদের বলবো যখনই কোনো শিশুকে W পজিশনে বসতে দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে তার বসার পজিশন পরিবর্তন করে দিন। আর সবারই তো জানা আছে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভাল। একটা বাচ্চার সুরক্ষার চেয়ে বড় আর কিছু কী হতে পারে?

বরগুনার আলো