ধারাবাহিকভাবে ঘুরে দাড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ধাক্কা কাটিয়ে ধারাবাহিকভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। রফতানি বৃদ্ধি, শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং দেশে চলমান টিকাদান কর্মসূচির প্রভাবে এ উন্নতির সম্ভাবনা জেগেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট- মুভিং ফরোয়ার্ড: কানেক্টিভিটি অ্যান্ড লজিস্টিকস টু স্ট্রেংথেন কম্পেটিটিভনেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের মতে, করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই বাংলাদেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের আগাম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ২০২১ অর্থবছরের প্রথমার্ধেই বাংলাদেশের কলকারখানাগুলো ফের চালু হয়েছে। রফতানি আবারো বাড়তে শুরু করেছে। 

বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চেহারা ইতিবাচক। একটি স্থিতিশীল পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশকে সবুজ, স্মার্ট এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের বৃহত্তম দুটি শহর ঢাকা এবং চট্টগ্রামে পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপগুলো চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারের দিকে ইঙ্গিত করছে। সেখানে জীবিকা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দরিদ্র ও বস্তি এলাকাগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে এ অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে। চট্টগ্রামে গত ফেব্রুয়ারিতেই প্রাপ্তবয়স্কদের কর্মক্ষেত্রে ফেরার হার প্রায় করোনাপূর্ব পর্যায়ে চলে এসেছে।

বিশ্বব্যাংক ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনটি বছরে দুবার প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সম্ভাবনাগুলো পরীক্ষা করে এবং বিভিন্ন দেশের নীতিগত চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করা হয়।