নিভু নিভু কল্যাণ পার্টি, ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ তৈরি নিয়ে অস্থিরতা!

সেনা-সমর্থিত এক-এগারোর সময় প্রতিষ্ঠা পাওয়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নিয়মমাফিক কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনীতিতে দৃশ্যমান হয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর দলটি হঠাৎ করে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ে। অনেকটা ‘নিভু নিভু’ করছে দলটির অস্তিত্ব। এরমধ্যে কর্নেল (অব.) অলির নেতৃত্বে জাতীয় মুক্তি মঞ্চ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন অস্থিরতা।

জানা গেছে, কয়েক মাস আগে ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে দল ছেড়েছেন কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম আমিনুর রহমান। জানা গেছে, এলডিপির প্রধান অলি আহমদের ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ তৈরি নিয়ে অস্থিরতা শুরু হয়েছে কল্যাণ পার্টিতে। ক্ষোভ বিরাজ করছে দলটির সহ-সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে। শিগগিরই চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবেন তারা। তাতে কোনো সমাধান না হলে একাধিক শীর্ষ নেতার দল ছাড়ার আশঙ্কা আছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

এই বিষয়ে কল্যাণ পার্টির একজন ভাইস চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েকটা দিন অপেক্ষা করেন। নতুন খবর পাবেন। কারণ দলের ভেতরের পরিস্থিতি অনেকটা হ-য-ব-র-ল।’ এই নেতার এমন প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমেই দল ছাড়ার শঙ্কা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কেননা, কোন ধরণের খবরের অপেক্ষার কথা তিনি বলছেন- সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলে এত নেতা, কারও সঙ্গে কথা না বলে চেয়ারম্যান এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাহলে অন্যদের দলে থাকার দরকার কি?

একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় থেকেই জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল বিএনপির, যা নির্বাচনের পর আরও প্রকট হয়। এ নিয়ে শরিকদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে বক্তব্যও দেন। বিশেষ করে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ এবং তার দলের একাধিক নেতা বিএনপির কড়া সমালোচনা করেন। সর্বশেষ অলি আহমদের নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় মুক্তি মঞ্চ। কল্যাণ পার্টি, জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি দলের নেতাদের এতে সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলেও বিএনপি জোটের কর্মসূচির প্রতি এদের অনীহা দেখা গেছে।

এদিকে কল্যাণ পার্টির একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের কণ্ঠে দল ভাঙ্গনে হতাশার সুর শোনা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কারোই মানসিক অবস্থা ভালো না। যেকোনো সময় সিনিয়রদের মধ্যে কেউ কেউ দল ছাড়তে পারেন। দেখেন না এলডিপিতে ডিগবাজি চলতেছে। মহাসচিব ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করলেও ভেতরে কোনো কারণ আছে কি না আমরা জানার চেষ্টা করছি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করলেও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিমের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।