• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে

পাথরঘাটায় বিএনপির নেতা কর্মীরা দলে দলে আ’লীগে যোগদান

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০১৮  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন (পাথরঘাটা-বামনা ও বেতাগী) ঐক্যফ্রোন্টের থেকে বিএনপির খন্দকার মাহবুব হোসেনকে ধানের শীষ প্রতিকে প্রার্থী করায় স্থানীয় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতি মধ্যে বিএনপির সহস্রাধীক নেতা কর্মীরা নৌকা মার্কার প্রার্থীর সাথে নির্বাচনে নেমে পরেছেন। এলাকায় এমপি রাখার জন্য বিএনপির নেতা কর্মীরা নৌকা মার্কার প্রার্থী বর্তমান সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমনকে সমর্থন দিয়েছেন। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাড়ের টানে সব সমই পাথরঘাটা উপজেলায় এমপি রাখার জন্য এলাকার মানুষ বা ভোটাররা ভোট দিয়ে থাকেন। স্বাধীনতা-উত্তর সময় থেকে হিসাব করলে এ আসনে পাথরঘাটা থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

জানা যায়, বরগুনা-২ আসনে তিনটি উপজেলার মধ্যে পাথরঘাটায় ভোটের সংখ্যা বেশী। এ আসনে বিএনপির শক্তিশালি প্রার্থী হিসাবে নুরুল ইসলাম মনি নির্বাচন করায় তিনি বার বার নির্বাচিত হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নুরুল ইসলাম মনি সরকারি টিন আত্মসাধ মামলা ও বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় বিএনপির হাত থেকে এ আসনটি ফসকে যায়। ২০০ ৮ সালের নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী প্রায়াত গোলাম সবুর টুলু চমক দেখীয়ে আ’লীগের সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়। দীর্ঘ ৪ বছর উন্নয়নের হাল ধরে এলাকায় জনগনের মাঝে আ’লীগের দুর্গ গড়ে তোলেন। তিনি. ২০১৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর উপ-নির্বচনে উত্তারসুরী হিসাবে নৌকার হাল ধরেন শওকত হাসানুর রহমান রিমন। তিনি আ’লীগের উন্নয়নের অংশীদার হিসাবে এলাকায় দলমত নির্বি শেষে জনগনের মাঝে আইন শৃঙ্খলাসহ উন্নয়ন মূলক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় এলাকার ৩ উপজেলা ভোটারদের মাঝে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেন। সাগরে দস্যু দমনে এই আ’লীগ সরকার বিশেষ অবদান রাখায় উপকুলীয় এলাকার বেশীর ভাগ জেলে ভোটাররা নৌকায় ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ সৈয়দ রিপন জানান, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বিএনপির রাজনীতি করেছি তবে বর্তমানে এই দলটা বরগুনা জেলায় এখন নেতা শুন্য। মনে করেছিলাম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপির জনপ্রিয় নেতা আবার আমদের মাঝে ফিরে পাব। কিন্তু স্থানী রাজনীতিতে খন্দকার মাহবুব সাহেব এ আসনে জন সমর্থনের দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। তাকে ধানেরশীষ প্রতিক দিয়ে বিএনপির নিশ্চিত আসনটি হারিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতারা । তিনি বলেন, বরগুনাÑ ২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজার ৩১৭ জন এর মধ্যে পাথরঘাটায়  ১ লক্ষ বিশ হাজার ৭১৪ ভোট। এই ভোটের সিংহ ভাগই এলাকায় এমপি রাখার জন্য দলমত নির্বি শেষে এলাকার প্রার্থীকে ভোট দেয়। খন্দকার মাহবুব হোসেন বামনা উপজেলার লোক বলে তাকে এখানকার মানুষ ভোট দিবে না। তা ছাড়া গত ৫ বছরে আ’লীগ আমাদের দক্ষিনাঞ্চরে যে উন্নয়ন করেছে। তাতে অনুপ্রানিত হয়ে এলাকায় নৌকা মার্কার ভোট বেড়েছে। তা ছাড়া নৌকার যে প্রার্থী তিনি একজন সত ও যোগ্য লোক হিসাবে আমরা ৩ উপজেলার সহস্রাধীক লোক নৌকা মার্কার প্রার্থী রিমনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন কালীন সময় আ’লীগে যোগদান করেছি। তিনি বরগুনা-২ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করবেন।

পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, পাথরঘাটায় বিএনপি থেকে যদি নুরুল ইসলাম মনিকে ধানের শীষে বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হত তাহলে এই নির্বাচনে আ’লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রতিযোগিতা হত। এখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনকে মনোনয়ন দেয়ায় আমাদের নৌকা মার্কার বিজয় সহজ ভাবে অর্জন করতে পারব। তা ছাড়া নুরুল ইসলাম পন্থি বিএনপি’র অনেক নেতা কর্মীরা আমাদের সমর্থন জানিয়ে নৌকা মার্কার নিবাচনে নেমে পরেছেন।

 

বরগুনার আলো