বিদেশি শক্তির অনুসরণে জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি

রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে বিএনপি। এতে থাগত রাজনীতির থেকে নিজেদের দূরে ঠেলে দিচ্ছে দলটি। ক্ষমতায় যেতে বিদেশি শক্তির অনুসরণ করতে গিয়ে বিএনপি দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র সফল করতে বিদেশিদের কাছে নিজেদের ন্যস্ত করেছে বিএনপি। বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা না কমালে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করা বিএনপির পক্ষে দূরূহ হয়ে পড়বে।

বিদেশি শক্তির নির্ভরতা নিয়ে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিএনপি ১৯৯১ সালের নির্বাচনেও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সহায়তা পেয়েছিল বলে গুঞ্জন রয়েছে। অতীতেও বিদেশ নির্ভরতার জন্য বিএনপিকে নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। অনেকেই বলেন, জন্মগত কারণেই বিএনপি বিদেশি শক্তির এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। জনমত না থাকার কারণে বিএনপিকে বিদেশিদের ওপর নির্ভর করতে হয় বলেও নানা সমালোচনা রয়েছে। আমি তো বলবো-সত্য, মিথ্যা যাই হোক, বিএনপিকে নিজ পায়ে দাঁড়ানো শিখতে হবে। অন্যের সহায়তায় পথ চললে খালে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। নিজের চোখ থাকতে অন্যকে অন্ধ অনুসরণ করাটা চরম বোকামি, যা বিএনপি প্রায়শই করে থাকে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে আইএসআই বা অন্যান্য সংস্থার কবল থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা চোখ থাকতেও অন্ধ। দেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে হলে বিএনপিকে জনগণের দলে রূপান্তরিত হতে হবে। বিদেশি শক্তি কোনোদিন বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। বিদেশি শক্তির নয়, বিএনপিকে এই দেশের জনগণের মন জয় করতে হবে। কারণ বিদেশিদের তাবেদারি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা যাবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি যেভাবে নিজেদের বিদেশি শক্তিদের কাছে ন্যাস্ত করেছে, তাতে দেশপ্রেমিক জনগণ দলটির ওপর ক্ষুব্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। দেশের মানুষের একটা আত্মসম্মানবোধ রয়েছে। অতীতে বিদেশিদের শাসন, শোষণ ও দেশবিরোধী চক্রান্ত বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবেই জানে। সুতরাং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি যত বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করবে তত দেশের জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।